কোটি টাকা ইনামেও অধরা, প্রয়াত ‘দণ্ডকারণ্যের ক*সাই’ !

তাকে পেতে এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার।

প্রয়াত কুখ্যাত মাওবাদী নেতা কাটাকম সুদর্শন ওরফে আনন্দ। ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য মৃত্যু হয়েছে তার। কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র কর্মা হত্যা-সহ নিরাপত্তারক্ষীদের উপর একাধিক হামলায় হাত ছিল সুদর্শনের। তাকে পেতে এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-র সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ছিল কাটাকম সুদর্শন ওরফে আনন্দ। ছত্তিশগড় ও আশপাশের মাও প্রভাবিত এলাকায় তার গতিবিধি ছিল অবাধ। কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেও তাকে বাগে আনতে পারেনি প্রশাসন।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন মাওবাদী নেতা কাটাকম সুদর্শনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মাওবাদীদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩১ মে দণ্ডকারণ্যের গভীরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুদর্শনের। এবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল সুদর্শন। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়েছিল। তবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কড়া নজরদারির জন্য শহরে আসতে পারছিল না সুদর্শন।
২৫ মার্চ, ২০১৩-তে ছত্তিশগড়ের সুকমায় কংগ্রেস নেতা তথা ‘সালবা জুদুমের’ কারিগর মহেন্দ্র কর্মা-সহ ৩২ জনকে হত্যা করে মাওবাদীরা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দাবি করে, দারভা ভ্যালিতে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের কনভয় অ্যামবুশের নেতৃত্বে ছিল গেরিলা বাহিনীর নেতা কাটাকম সুদর্শন। আত্মসমর্ণ করলেও কংগ্রেস কর্মী ও তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীদের হত্যা করে মাওবাদীরা।
এছাড়াও ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়া হামলাতেও হাত ছিল তার। ওই আক্রমণে লাল সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন ৭৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান।তারপর থেকেই ‘দণ্ডকারণ্যের কসাই’ হিসাবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।