মণিপুরের আঁ.চ দিল্লিতে! শাহের বাড়ির সামনে বি.ক্ষোভ, ইন্টারনেট চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা

ধবার সকালেই ভয়াবহ হিংসার সাক্ষী থাকল অগ্নিগর্ভ মণিপুর। অসুস্থ এক বালক-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ইম্ফলে।

মণিপুরে (Manipur) অশান্তির আঁচ লাগল দিল্লিতেও (Delhi)। বুধবার সকালে কুকি জনগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সরকারি বাসভবনের (Bungalow) সামনে বিক্ষোভ দেখায়। শাহ জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাঁর বাংলো সর্বদা কমান্ডো বেষ্টিত থাকে। তারপরও বিক্ষোভকারীরা তাঁর বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ। তবে এদিন পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে চারজনকে শাহের বাংলোর ভিতরে নিয়ে যায় পুলিশ। বাকিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় যন্ত্ররমন্তরে। এদিকে বুধবার সকালেই ভয়াবহ হিংসার সাক্ষী থাকল অগ্নিগর্ভ মণিপুর। অসুস্থ এক বালক-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ইম্ফলে (Imphal)।

জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই বালকটিকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তার মা ও প্রতিবেশী। সেই সময়েই অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন ধরিয়ে খুন করা হয়েছে তিনজনকে। প্রসঙ্গত, কুকি ও মেতেই দুই জনজাতির সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। ঘটনাটি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটেছে এবং অদূরে অসম রাইফেল্সের ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও হামলা ও মৃত্যু আটকানো যায়নি। স্বভাবতই কুকিরা এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া হিংসার কোনও বিরাম নেই রাজ্যটিতে। অথচ, এই মুহূর্তে কাশ্মীরের পর মণিপুরেই সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন আছে। এছাড়া অসম রাইফেলস, সিআরপিএফ, সিআইএসএফের বিপুল সংখ্যায় জওয়ান টহল দিচ্ছে রাজ্যে। তারপরও একের পর এক হামলার ঘটনায় পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে।

এদিকে মণিপুরে হিংসার ঘটনা শুরুর পর থেকেই সেখানে বন্ধ ইন্টারনেট (Internet)। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সেখানে ইন্টারনেট সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার ইন্টারনেট বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সেখানের এক আইনজীবী। তাঁর সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টে এক একটি আবেদন করেন মণিপুরের এক ব্যবসায়ীও। তবে দুই সম্প্রদায়ের বিরোধের জেরে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেই কারণে গত ৩ মে থেকেই ইন্টারনেট সাসপেন্ড করা হয়। তারপরে সেখানে শান্তি না ফিরলেও দফায় দফায় ইন্টারনেট সাসপেন্ড রাখার সময় বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছেন মণিপুরের বাসিন্দারা। সেখানে চরম সমস্যা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আরও বেশি সমস্যা হচ্ছে ব্যাঙ্কে। ইন্টারনেট না থাকার কারণে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন মণিপুর হাইকোর্টের আইনজীবী চোংথাম ভিক্টর সিং। তাছাড়াও এক ব্যবসায়ী ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালঞ্জ জানিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন।

 

 

Previous articleপরীক্ষা ছাড়াই পাশ, ভুয়ো সার্টিফিকেটে চাকরি! কেরলে নজিরবিহীন দুর্নীতি SFI-এর
Next articleদুর্ঘ.টনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ১০০ পড়ুয়ার লেখাপড়ার ভার নিয়েছে সরকার