দুর্ঘ.টনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ১০০ পড়ুয়ার লেখাপড়ার ভার নিয়েছে সরকার

বালেশ্বরে দুর্ঘটনায় সব হারানো পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) নিহত ও গুরুতর আহত যাত্রীদের পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য এবং চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৫০জন ছেলে ও ৫০ জন মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানোর ভার সরকার গ্রহণ করেছে।

অনাড়ম্বর ওই অনুষ্ঠান আগাগোড়াই ছিল আবেগঘন। যাঁরা সরকারি সহায়তা নিতে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দুঃস্থ প্রান্তিক মানুষ। দুর্ঘটনা তাঁদের জীবনের সব আলো কেড়ে নিয়েছে। কেউ হারিয়েছেন স্বামীকে, কেউ যুবক পুত্রকে। অভিশপ্ত ট্রেন আবার অনেকের পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে চিরতরে অথর্ব করে দিয়েছে। এদিন মমতার স্পর্শে তাঁদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। চোখ ভিজে ওঠে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানেরও। প্রত্যেক পরিবারের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলে তাঁদের সমস্যা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। দেন পাশে থাকার আশ্বাস।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,

রাজ্যের ১০৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
৮৬ জনের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৪০-৫০ জন এখনও নিখোঁজ।
গুরুতর আহত হয়েছেন ১৭২ জন।
৩জনের হাত-পা-চোখের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হয়েছে।
সামান্য আহত হয়েছেন ৬৩৫ জন।

এদের মধ্যে বেশকিছু পরিবারকে এদিন অর্থ সাহায্য তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় কবলে পড়া ৭৯৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককেও সংসার প্রতিপালনের খরচ দেওয়া হবে। এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে আরও বিভিন্ন সহায়তার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৫০জন ছেলে ও ৫০ জন মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানোর ভার সরকার গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ আবেদন জানালেও তা বিবেচনা করা হবে। যেসব মানুষ পেশাগত কারণে ওই ট্রেনে করে ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন তারা যাতে নিজের এলাকায় কাজ পান তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের মহিলাদের আশা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে তিনি নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাকে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী দিনেও সরকার সব রকম ভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকবে। এইসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য আগামী ৬ মাস প্রত্যেক জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিযুক্ত থাকবেন।

আরও পড়ুন- মণিপুরের আঁ.চ দিল্লিতে! শাহের বাড়ির সামনে বি.ক্ষোভ, ইন্টারনেট চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা

 

 

Previous articleমণিপুরের আঁ.চ দিল্লিতে! শাহের বাড়ির সামনে বি.ক্ষোভ, ইন্টারনেট চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা
Next articleরেল দু.র্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল