পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) ইতিহাসে এই বিপুল পরিমাণ মনোনয়ন আগে দেখা যায়নি। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে মনোনয়ন পর্ব (Nomination)। কিন্তু বিরোধীদের কুৎসা-অপপ্রচার থামছে না। শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করে চলেছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি।

আসলে বিরোধীদের সংগঠন বলে কিছু নেই। অবাধ মনোনয়নের ব্যবস্থা করা হলেও বহু জায়গায় প্রার্থীর অভাবে মনোনয়ন দিতে পারেনি বিরোধীরা। যেমন অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমেও হাজারের উপরে আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বিরোধীরা না থাকায় ভোটের আগেই বহু পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কঙ্কাল কাণ্ডের খলনায়ক সুশান্ত ঘোষের (Sushanta Ghosh) বুথে পর্যন্ত প্রার্থী নেই সিপিএমের।
নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা ঢাকতে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকর হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তাতেও শান্তি নেই বিরোধীদের। আর এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে একটি টুইটে তিনি লেখেন, “ভোটার পিছু একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলেও তৃণমূল জিতবে। বাহিনীর বিরোধিতা শুধু নীতিগত কারণে। দলের কর্মীদের জেদ বাড়ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে সেনা আনলেও পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমূল। যাঁরা এসব নিয়ে লাফাচ্ছেন, তাঁরা ১১ জুলাই রাতে পরাজয়ের কী অপযুক্তি দেবেন ভেবে রাখুন।”

ভোটার পিছু একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলেও @AITCofficial জিতবে। বাহিনীর বিরোধিতা শুধু নীতিগত কারণে। দলের কর্মীদের জেদ বাড়ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে সেনা আনলেও পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমূল। যাঁরা এসব নিয়ে লাফাচ্ছেন, তাঁরা 11 জুলাই রাতে পরাজয়ের কী অপযুক্তি দেবেন ভেবে রাখুন।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 23, 2023