অবিলম্বে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন! ISF-র মামলায় কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের

বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, গণতন্ত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় কখনও নজির হতে পারে না। পাশাপাশি এদিন বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ওই ৮২ জনের নাম কমিশনের তালিকা থেকে একেবারে উধাও হয়ে গেল তার জবাব কমিশনকে দিতে হবে।

ভাঙড়ের (Bhangar) আইএসএফ (ISF) প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল (Nomination Cancelled) সংক্রান্ত মামলায় এবার বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে মামলার শুনানি হয়। আর সেই শুনানিতেই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত এদিন সাফ জানিয়েছে, আইএসএফের যে ৮২ জন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, অবিলম্বে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে আগামী ২৮ জুনের মধ্যে কমিশনকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

এর আগে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের পুলিশি এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দিতে হবে। পরে আইএসএফ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানায়, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল তাঁদের প্রার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু এরপরও অনেকে পৌঁছেছিলেন, অনেকে বাধার কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। আর যাঁরা পৌঁছেছিলেন, তাঁদের অনেকেরই মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর স্ক্রুটিনি ও প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর দেখা যায় ১০ আসনে তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। সোমবার এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, গণতন্ত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় কখনও নজির হতে পারে না। পাশাপাশি এদিন বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ওই ৮২ জনের নাম কমিশনের তালিকা থেকে একেবারে উধাও হয়ে গেল তার জবাব কমিশনকে দিতে হবে।

জানা গিয়েছে, ভাঙড়-২ ব্লকের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম ২০ জুন পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তালিকায় ছিল। কিন্তু ওইদিন ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। আর আচমকাই সেদিন রাতে কমিশনের তালিকা থেকে ৮২ জনের নাম উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁদের তালিকা বাতিল হয়ে গিয়েছে বলেই জানায় কমিশন। এরপরই মনোনয়ন বহাল রাখার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

 

 

 

Previous articleঅর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত? ব্যাখ্যা শক্তিকান্তর
Next articleবেলঘরিয়ায় দরজা ভেঙে মিলল প্রৌঢ়ার প.চা-গ.লা দে.হ, পাশের ঘরে ক.ঙ্কাল!