সিগারেট খাওয়ার খেসারত! দশম শ্রেণির ছাত্রকে পি.টিয়ে মারলেন শিক্ষকরা

পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলের ওই ছাত্রকে প্রকাশ্য রাস্তায় ধূমপান করতে দেখে ফেলেছিলেন শিক্ষক। আর সেই অপরাধেই ছাত্রকে টেনেহিঁচড়ে স্কুলে নিয়ে গিয়ে জামা খুলে, বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে মারলেন স্কুলেরই কয়েকজন শিক্ষক।

ধূমপান (Smoking) শাস্তিযোগ্য অপরাধ! আর সেই অপরাধের জেরে প্রাণ গেল এক ছাত্রের (Student)। হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী বিহার (Bihar)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধূমপান করার জন্য ওই কিশোরকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিহারের চম্পারণ জেলার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও শিক্ষকদের দাবি, ধূমপান করে ধরা পড়ার কথা পরিবারে জানাজানি হওয়ার ভয়েই ওই ছাত্র নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলের ওই ছাত্রকে প্রকাশ্য রাস্তায় ধূমপান করতে দেখে ফেলেছিলেন শিক্ষক। আর সেই অপরাধেই ছাত্রকে টেনেহিঁচড়ে স্কুলে নিয়ে গিয়ে জামা খুলে, বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে মারলেন স্কুলেরই কয়েকজন শিক্ষক। বিহারের চম্পারন জেলার ‘মধুবন রাইজিং স্টার’ (Madhuban Rising Star) স্কুলের এই ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ১৫ বছরের ছেলেকে খুন করেছেন শিক্ষকরা। ইতিমধ্যে বজরঙ্গি কুমার নামে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি স্কুলটিকে ইতিমধ্যে সিল করে দিয়েছে পুলিশ। আর এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তি ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চম্পারনের ওই স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছিল পড়ুয়া বজরঙ্গি। সে হোস্টেলে থাকত। সম্প্রতি গরমের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। শনিবার সকালে সে বাড়ি থেকে বাজারে যায় এবং সেখান থেকে ফেরার সময় স্থানীয় একটি ব্রিজের নীচে দাঁড়িয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সিগারেট ধরায়। এমনই সময়ে তাকে দেখে ফেলেন মধুবন স্কুলের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক বিজয় কুমার যাদব। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি।

এরপর চেয়ারম্যান বিজয় কুমার তাকে সোজা নিয়ে যান স্কুলে। অভিযোগ, স্কুলে গিয়েই অন্য শিক্ষকদের জুটিয়ে বজরঙ্গিকে প্রবল মারধর শুরু করেন তিনি। পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, জামা খুলে বেল্ট দিয়ে বেদম মারা হয় ছেলেকে। মার খেয়ে সে লুটিয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার গলায় এবং হাতে গভীর ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়, রক্ত পড়তে থাকে যৌনাঙ্গ থেকেও। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষমেশ তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ পিটিয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, তাঁদের অভিযোগ ভয় পেয়েই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে পড়ুয়া। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

 

 

 

Previous article“আনন্দ বোস বেআইনি কাজ করছেন”, এবার বই প্রকাশ নিয়ে কুণালের নিশানায় রাজ্যপাল
Next articleধোনির সামনে চকোলেটের ট্রে নিয়ে হাজির বিমানসেবিকা, ভাইরাল ভিডিও