কেন জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছেন সারফারাজ? মুখ খুললেন বিসিসিআই কর্তা

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "আমরা কি বোকা নাকি? রঞ্জিতে দুই মরশুমে ৯০০-র ওপরে রান করা একজন ক্রিকেটারকে দলে নেব না? প্রথমত, সারফারাজের ফিটনেস একেবারেই আন্তর্জাতিক মানের নয়, ওকে শরীরের মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে হবে।

সদ্য ঘোষণা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য ভারতীয় দল। টেস্ট এবং একদিনের দল ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন আইপিএল-এ ভালো খেলা যশস্বী জসওয়াল, মুকেশ কুমাররা। তবে এবারও ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি রঞ্জি দুরন্ত পারফরম্যান্স করা সারফারাজ খানের। কেন তাঁর দলে জায়গা হয়নি? এ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। আর তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন নির্বাচকরা।

জানা যাচ্ছে, ফিটনেসের পাশাপাশি মাঠের মধ্যে সারফারাজের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচকরা। গত তিন রঞ্জি মরশুম মিলিয়ে মোট ২৫৬৬ রান করেছেন সারফারাজ। ২০১৯-২০ মরশুমে ৯২৮ এবং ২০২২-২৩ মরশুমে করেছেন ৬৫৬ রান। কিন্তু দলে জায়গা পাওয়া যশস্বী জয়সওয়াল এবং রুতুরাজ গায়কোয়াডদের গড় সারফারাজের থেকে কম। তবুও কেন সুযোগ পেলেন না মুম্বই ক্রিকেটার? এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই-এর এক কর্তা বলেন, “সমর্থকরা প্রতিক্রিয়া জানাবেন এটাই স্বাভাবিক।  বারবার কাউকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না। তাই সারফারাজকে না নেওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বলা ভালো একাধিক কারণ রয়েছে ওকে না নেওয়ার।”

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমরা কি বোকা নাকি? রঞ্জিতে দুই মরশুমে ৯০০-র ওপরে রান করা একজন ক্রিকেটারকে দলে নেব না? প্রথমত, সারফারাজের ফিটনেস একেবারেই আন্তর্জাতিক মানের নয়, ওকে শরীরের মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে হবে। তা হলেই দলে সুযোগ পাবেন তিনি। দ্বিতীয়ত, মাঠের বাইরে ও মাঠের মধ্যেও ওর আচরণ ঠিক নয়। ওর কিছু কথা, কিছু ব্যবহার, কিছু ঘটনা নির্বাচকেরা লক্ষ করেছেন। আরও একটু শৃঙ্খলা দেখালে খুব ভাল হত। আশা করি আগামী দিনে সারফারাজ এ বিষয়ে ওর বাবা এবং কোচ নওশাদ খানের সঙ্গে আলোচনা করবে।”

এই বছরেই দিল্লির বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার পর, সারফারাজের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে মাঠে হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। তাঁর সামনেই এমন ঘটনা ভালোভাবে নেননি তিনি। এর আগে রঞ্জি ফাইনালে, তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের কোচের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছিল মুম্বই-এর এই তারকা ব্যাটারকে।

তবে আইপিএল-এ খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তেমনটা একেবারেই মানতে নারাজ বোর্ডকর্তা। তিনি বলেন, “প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০০ রান করে মায়াঙ্ক আগরওয়াল দলে ঢুকেছিল। তখন কি কেউ ওর আইপিএল রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল? হনুমা বিহারীর ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। সে-ও ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ভারত ‘এ’ দলের পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে ঢুকেছিল। এখন তাহলে নতুন তত্ত্ব কেন খাড়া করা হচ্ছে?”

আরও পড়ুন:আজ ভারতের সামনে কুয়েত, জয়ই লক্ষ‍্য টিম ইন্ডিয়ার

 

 

Previous articleচিকিৎসা করে ফেরার পথে মর্মা.ন্তিক দু.র্ঘটনায় মৃ.ত্যু ৩ জনের
Next articleহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী