বিরোধীদের চাপে ড্রো.ন কেনা নিয়ে ফের আলোচনায় আধিকারিকরা, দাম কমাতে পারে আমেরিকা

ড্রোনের দামে ভারত ২৭ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

বিরোধীদের চাপে শেষ পর্যন্ত মার্কিন মুলুক থেকে ড্রোন কেনা নিয়ে ফের আলোচনায় বসতে চলছে দুই দেশের আধিকারিকরা। চলতি মাসের শুরুতেই আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(narendra modi)। গিয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তাঁর স্ত্রীকে বেশ কিছু বহু মূল্য উপহার দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার সেই ‘গিফট’-এরই যেন ‘রিটার্ন গিফট’ দিতে চলেছে বাইডেন সরকার(bydane government)। মোদির সদ্যসমাপ্ত আমেরিকা সফরের মধ্যেই আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সামরিক ড্রোন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, আর সেই ড্রোনের দামে ভারত ২৭ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনই দাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই এই চুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তির পরই ভারতের নৌবাহিনীর হাতে আসতে চলেছে এমকিউ ৯- সি গার্ডিয়ান ‘প্রিডেটর’ ড্রোন । বায়ুসেনার হাতে আসবে এই ড্রোন। এই সশস্ত্র হাতিয়ার দিয়ে মূলত চিন ও পাকিস্তানের(pakistan) উপর নজরদারি চালানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের ক্ষেত্রে একেকটি এই ড্রোনের দাম আনুমানিক ৯৯ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু কিছুদিন আগে আরব-আমিরশাহি যে ড্রোনগুলি কিনেছিল তার একেকটির দাম পড়েছিল প্রায় ১৬১ মিলিয়ন ডলার। যদিও ভারত যে ড্রোনগুলি নেবে তা আরবের ড্রোনগুলির চেয়ে খানিকটা উন্নতমানের বলে শোনা যাচ্ছে। তবে একলপ্তে অনেকগুলি ‘প্রিডেটর’-এর বরাত দেওয়ার জন্য দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মার্কিন ড্রোনে আরও বেশ কিছু প্রযুক্তিগত বদল করতে চাইছে ভারত। এই পরিবর্তনের ফলে ড্রোন আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে। রাডার ও মিসাইলের ব্যবস্থা রাখা হবে এই ড্রোনে। ফলে শত্রু পক্ষের ঘাঁটি খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে ভারত। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কিছুদিন আগেই দাবি করেছে যে অনেক বেশি দামে ড্রোনের চুক্তি করেছে মোদি সরকার। এই চুক্তি আরও স্বচ্ছ ভাবে হওয়া দরকার।

Previous articleইস্তফা দেব না: স্পষ্ট বার্তা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, ভাইরাল ছেড়া পদত্যাগ পত্র
Next articleআজ মধ্যরাতের পরেই রাজ্যে চালু হচ্ছে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল