“মি: বোস,আপনি ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন”; নন্দীগ্রামে প্রচারে মন্তব্য কুণালের

কারণ তাদের রক্ত দরকার এবং সেটা দেখিয়ে তাদের আরও বাহিনীর দরকার।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তিনি।যেখানে ৭৩ হাজার বুথ সেখানে আট দশ জায়গায় কিছু গন্ডগোল হচ্ছে এবং সেটা করছে বিরোধীরা। কারণ তাদের রক্ত দরকার এবং সেটা দেখিয়ে তাদের আরও বাহিনীর দরকার।

কুণাল অভিযোগ করেন, তৃণমূলের কেউ মারা গেলে তো এতদিন রাজ্যপাল সেখানে যাচ্ছিলেন না। আমাদের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে এখন নাটক করছেন। দুদিন বাদে ভোট, আর এখন প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে ডেকে পাঠাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক নেতাকে ডাকা হয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল।ভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে পুরনো মামলায় প্রার্থীদের ডেকে বলা হচ্ছে ভোটের ময়দানে না নামতে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি, প্রশ্ন তোলেন কুণাল।বরং তিনি মনে করিয়ে দেন, কখনও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪০ জন মারা গেছে, কখনও ৫০ জন মারা গেছে।৭৮ সাল থেকে গুনে শেষ করা যাবে না।

মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের আমদাবাদে এদিনের প্রচারে ছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।রামনগরের কালিন্দীবাজারেও এদিন তারা প্রচার করেন।কুণাল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত কিছুতে দাম বাড়াচ্ছে পেট্রোল ডিজেল কেরোসিন গ্যাস দাম আকাশ ছোঁয়া অথচ মানুষের গচ্ছিত রাখা টাকা ব্যাংকে সুদ ক্রমশ কমছে অন্যদিকে তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য ৬০ থেকে ৭০ টি প্রকল্প চালু করেছে যার সুবিধা কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সব সুবিধা রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন।

রাস্তা আলো জল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সুবিধা মানুষ পাচ্ছে। এদিন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েও ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে তো থাকেন কুনাল বলেন ও আর ওর পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অনেক পেয়েছে সিবিআই এর এফ আই আর এর নাম থাকা শুভেন্দু নিজে বাঁচতে এখন বিজেপিতে গিয়ে ছাতার তলায় আশ্রয় নিয়েছে।

তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি আদি বিজেপিকে কর্মী সমর্থকদেরও তৃণমূলকে সমর্থন করার আহ্বান জানান কুণাল। নিজেদের অধিকার রাখতে বিভিন্ন প্রকল্প চালু রাখতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার ডাক দেন তিনি।

 

Previous articleতৃণমূলের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী জীবনকৃষ্ণ!
Next articleমার্টিনেজের হাতে মিষ্টি ‘সোনার’ গ্লাভস, গর্বিত হুগলিবাসী