যৌ.ন নি.র্যাতনের শিকার কতজন? মণিপুরের বিজেপি সরকারকে হলফনামা পেশের ‘সুপ্রিম নির্দেশ’  

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আক্রান্ত মহিলাদের দ্রুত ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে আদালত।

মণিপুরে (Manipur) কত মহিলা যৌন নির্যাতনের (Women Assault) শিকার হয়েছেন? এবার সেই সংখ্যাই মণিপুর সরকারকে অবিলম্বে পেশ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সোমবারই মণিপুরের দুই নির্যাতিতা মামলা দায়ের করেন দেশের শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দুই নির্যাতিতা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানানোর পাশাপাশি মণিপুরের ঘটনায় শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Justice DY Chandrachud) এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি মণিপুর সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, শুধু দুজনই নন আরও অনেক নারীই এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে সেই সংখ্যাটা ঠিক কত? তা অবিলম্বে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে মণিপুর সরকারকে।

এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আক্রান্ত মহিলাদের দ্রুত ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে আদালত। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রস্তাব থাকলে তা আদালতে অবিলম্বে পেশের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। দিনকয়েক আগেই বিবস্ত্র করে হাঁটানোর পর দুই মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসে। তবে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। চরম সমালোচিত হতে হয় মণিপুরের বিজেপি সরকারকে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার না পারলে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যবস্থা নেবে শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার কথাও জানানো হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দুই নির্যাতিতা। এদিন নিরপেক্ষ তদন্তের পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।

তবে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মাধ্যমে এদিন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করেন। সেই হলফনামায় মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনার মামলাটির শুনানি রাজ্যের বাইরে করার আবেদন জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যের পরিস্থিতির কারণেই মামলা অন্য রাজ্যে সরানো দরকার। এরপরই চরম বিতর্কের মুখে কেন্দ্র। মামলাকারীদের আশঙ্কা, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার জোর করে অসম বা ত্রিপুরার মতো বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরাতে চাইছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, আর তার আগে মণিপুর কাণ্ডে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। আর সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলেই এবার রাজ্যভাগ সহ একাধিক আজব দাবিতে সরব কেন্দ্র তথা মণিপুরের বিজেপি সরকার।

কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল সোমবার আদালতে আরও জানান, দুই মহিলার উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট মনে করলে তদন্তে নজরদারি চালাতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের তাতে কোনও আপত্তি নেই।

 

 

Previous article১৫ কোটির মেগা বাজেটে প্রকাশ্যে ‘জওয়ান’-এর প্রথম গান!
Next articleমিডল অর্ডারে ব‍্যর্থ সূর্যকুমার, এখনই ভরসা হারাতে নারাজ দ্রাবিড়