৩৭০ বাতিল একেবারেই ‘অসাংবিধানিক’! মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক’ কটাক্ষ সিব্বলের

জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা খর্ব করা এবং পূর্ণ রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সময় সাংবিধানিক দিকটিকে একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। সবটাই রাজনৈতি উদ্দেশে করা হয়েছে। বুধবার ৩৭০ ধারা বাতিলের সাংবিধানিক বৈধতা(Constitutional) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। এদিনই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা বা অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Justice DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সোম এবং শুক্রবার বাদে প্রতিদিনই ধারাবাহিকভাবে এই মামলার শুনানি চলবে।

৩৭০ ধারা বাতিলের কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আবেদনকারী পক্ষের হয়ে বুধবার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আর শুনানির শুরুতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত একেবারেই কোনও সাংবিধানিক পদক্ষেপ নয়। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সিব্বলের আরও অভিযোগ, জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার নিয়ে শীর্ষ আদালতে মোট ২০টি আবেদন জমা পড়েছে। বুধবার থেকে ধারাবাহিকভাবে সেই মামলাগুলির শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পাশাপাশি সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত।

পাশাপাশি বর্ষীয়ান আইনজীবীর আরও দাবি, কেন্দ্র কাশ্মীরবাসীর সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে। ভারত যখন গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল, তখনও ৩৭০ ধারা ছিল। কিন্তু আচমকা কেন সেই ধারাকে এভাবে খর্ব করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদাদানের জন্য ৩৭০ নম্বর ধারা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর সংসদের দুই কক্ষে ৩৭০ বাতিলের বিল পাশের ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় কাশ্মীর। এমনকি, হারায় রাজ্যের মর্যাদাও। পরে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়।

 

 

Previous articleরাজ্যের পাওয়া সব পুরস্কার থাকবে আলিপুরের সংগ্রশালায়: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleভারতীয় সেনায় পা.ক নাগরিক! রিপোর্ট জমা দিল CBI