ক্লাস টু, সেকশন ‘এ’, রোল নম্বর ২১, মায়ের কাছে শেষ প্রশ্ন, “ট্র্যাফিক সিগন্যাল বানান কী?”

৪৮ ঘণ্টা আগেও ছটফটে দুষ্টু মিষ্টি ছেলেটা হাত তুলে সাড়া দিত। আজ সে স্কুলের গেটে শো.কবার্তায় ছবি হয়ে আটকে আছে। শো.কে বিহ্বল বেহালা।

ছোট্ট ছেলেটার জন্মদিনের আর মাত্র ২১ দিন বাকি ছিল। সাত বছরের খুদে মনে মনে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল। এবারের বার্থ ডে – তে স্কুলের বন্ধুদের কোন কোন চকলেট দেবে, কোন খেলনাটা বাবা-মায়ের কাছ থেকে গিফট হিসেবে নেবে, সেই সব লিস্ট করা হয়ে গেছিল। অনেকটা পথ চলার ছিল তার, কিন্তু নিয়তি যে একটা বড় পথ দুর্ঘটনায় তার শেষ পরিণতি চূড়ান্ত করে রেখেছিল সেই আন্দাজ কারোর কাছে ছিল না। বড়িশা প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস টু, সেকশন ‘এ’, রোল নম্বর ২১ বললেই ‘প্রেজেন্ট মিস’ বলছে না সৌরনীল (Souranil Sarkar) ! ৪৮ ঘণ্টা আগেও ছটফটে দুষ্টু মিষ্টি ছেলেটা হাত তুলে সাড়া দিত। আজ সে স্কুলের গেটে শোকবার্তায় ছবি হয়ে আটকে আছে। শোকে বিহ্বল বেহালা।

দোষ কার? দায় কার? কী শাস্তি হবে অপরাধীদের? এই প্রশ্নগুলো খবরের কাগজে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। টেলিভিশনে যতবার আলোচনা হচ্ছে, ততবার বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে সৌরনীল সরকারের পরিবারের। সামান্য একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে রওনা দিয়েছিল ছোট্ট ছেলেটা। পিঠে ব্যাগ আর গলায় ওয়াটার বোতল ঝুলিয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “মা ট্র্যাফিক সিগনালের বানান কী”? সাত বছরের শিশু মনে মনে কি বুঝতে পেরেছিল এটাই তার শেষ যাত্রা?

বেহালা কাণ্ডে গ্রেফ.তার ১১, সৌরনীলের পরিবারের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ সৌরনীলের চলে যাওয়ার শোকে বন্ধ স্কুলের পঠন পাঠন। স্কুলের শিক্ষিকারা বলছেন কৌতুহলী সৌরনীল কোন কিছু বুঝতে না পারলে বারবার জিজ্ঞাসা করত। তার মা অত্যন্ত সচেতন ছিলেন ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে। নিজের স্কুলের খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন প্রধানশিক্ষক। শুক্রবার বাবার সঙ্গে স্কুলে যেতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না সাত বছরের সৌরনীলের।


 

 

 

 

Previous articleকাশ্মীরে ফের গু.লির লড়াই! জ.ঙ্গি সংঘ.র্ষে শহিদ ৩ জওয়ান
Next articleভাঙড়ে আগ্নে.য়াস্ত্র সহ গ্রেফ.তার আইএসএফ কর্মী