২০২৪-এর প্রথমেই ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার পথে রাজ্য

২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্য ডিমের উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছর থেকেই নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ভিন রাজ্যে ডিম রপ্তানি শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঁচটি অত্যাধুনিক মেগা পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ,ইংলিশ বাজার, পুরুলিয়া ,শালবনী এবং হরিণঘাটায় একটি করে এ ধরনের ফার্ম তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রতিটিতে ৩ লক্ষ মুরগী পালন করা যাবে। এই পাঁচটি সরকারি পোল্ট্রি ফার্ম চলতি বছরের শেষ থেকেই উৎপাদন শুরু করবে। এবং ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাৎসরিক ৪৬ কোটির মত ডিম উৎপাদন করবে বলে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর
সূত্রে জানা গিয়েছে।

এছাড়া পোল্ট্রি শিল্পকে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকারের গৃহীত উৎসাহ ভাতা প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় ১৫৬ টি বেসরকারি পোল্ট্রি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৩৭টি ফার্মে ইতিমধ্যেই ডিম উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই সমস্ত বেসরকারি পোল্ট্রি ফার্ম একসঙ্গে উৎপাদন শুরু করলে রাজ্যে বাড়তি প্রায় ২৩০ কোটি ডিম উৎপাদন সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে দিন ও মাংস উৎপাদনের উৎসাহ দিতে চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে ১১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের গত দু বছরে ১৪ লক্ষ কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে।

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রাজ্যকে ডিম উৎপাদনের স্বনির্ভর করে তুলতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাহিদা অনুযায়ী বছরে ১৪০০ কোটি ডিম উৎপাদন হলে এব্যাপারে সম্পূর্ন স্বনির্ভর হওয়া যাবে। সেখানে বর্তমানে রাজ্যে বছরে ১২০০ কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে। ৮৪ টি হ্যাচারি সংস্থা রাজ্যে কাজ শুরু করেছে। তাই বাকি দুশো কোটি ডিম বছরে উৎপাদনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে। নতুন প্রকল্পগুলিকে যুক্ত করায় রাজ্যে ডিমের চাহিদা মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত ডিম ভিন রাজ্যে রপ্তানি করা যাবে বলে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা আশাবাদী।

আরও পড়ুন- নিরাপত্তার সমস্যা, কালীপুজোর দিন ইডেনে ম‍্যাচ নিয়ে আপত্তি কলকাতা পুলিশের : সূত্র