সংক্রমণ কমলেও খাবারে ‘অনীহা’ ! রবিতেও ‘ছুটি’ মিলছে না বুদ্ধদেবের

সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ না করা হলেও অনেকটাই ভালো আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে, শরীরে একাধিক নল লাগানো নিয়ে বার বার আপত্তি জানালেও, ‘রাইলস টিউব’ দিয়েই চলছে খাওয়া দাওয়া।

আরও পড়ুনঃ অ্যান্টিবা.য়োটিকের ডোজ শেষ, আগামী সপ্তাহেই বাড়ি যেতে পারেন বুদ্ধদেব!

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপি ২০-র নীচে নেমেছে। অর্থাৎ, সংক্রমণের হার আরও একটু কমার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির ‘বাইপ্যাপ সাপোর্ট’ও ক্রমশ মানিয়ে নিচ্ছেন বুদ্ধদেব, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার বেশ কিছু সময়ের জন্য তাঁকে বাড়ির ‘বাইপ্যাপ সাপার্টে’ই রাখা হয়েছিল। রাতে অবশ্য হাসপাতালের ‘বাইপ্যাপ সাপার্টে’ রাখা হয়।তবে নতুন করে কোনও সংক্রমণ যাতে নতুন করে বুদ্ধদেবকে কাবু করতে না পারে, তার জন্য সতর্ক থাকতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। বাড়ি ফিরেও কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
রবিবার সকালে হাসপাতালের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে থাকলেও, চিকিৎসক এবং তাঁকে দেখতে আসা মানুষদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বৈঠকে বসবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই বৈঠকেই বুদ্ধদেবের বাড়ি ফেরা নিয়ে পাকা সিদ্ধান্ত হবে।
গত ২৯ জুলাই ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বুদ্ধদেবকে। ওই দিন রাতেই তাঁকে দেওয়া হয় ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে’। ৪৮ ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে থাকার পর তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় ‘নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে’। তবে সাত দিন হাসপাতালে কাটানোর পর বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। এক সপ্তাহ পর শনিবার তাঁর অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ শেষ হয়েছে। তার পরেই খুলে ফেলা হয়েছে স্যালাইনের নলও।

Previous articleভারতীয় টিমের কোচ অভিষেক! শুভেচ্ছা জানালেন সেহবাগ, যুবরাজরা
Next articleগোটা দেশে ৫০৮ স্টেশনের সংস্কারের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর