মহাকাশে হঠাৎ মৃ.ত্যু! শেষকৃত্য কি পৃথিবীর বাইরে?

শনিবারই ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে।

বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে ততই ব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তের নানা অজানা রহস্যের সন্ধানে মানুষ এগিয়ে চলেছে। স্থলভাগের পর এবার জলভাগ এবং অন্তরীক্ষে মানুষের পা পড়েছে। মহাশূন্যে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে থাকা অজানা বস্তু, ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Space Research Centre) চেষ্টা করছে বারবার একাধিক মহাকাশযান (Spaceships) পাঠিয়ে রহস্য সমাধানের রাস্তা খুঁজতে। এই ব্যাপারে সবার আগে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (National Aeronautics and Space Administration) নাম করতে হয়। পিছিয়ে নেই ভারতীয় ইসরোও (ISRO)। শনিবারই ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে। নাসা মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (International Space Station) তার বিভিন্ন গবেষকদের দিনের পর দিন পাঠিয়ে রেখেছে, যাতে মহাশূন্যের প্রতিমুহূর্তের ঘটনার ছবি পৃথিবীতে পৌঁছে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মাসের পর মাস বছরের পর বছর যে সমস্ত মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে থাকেন, বা নানা অভিযানে যান, আচমকাই যদি তাঁদের মধ্যে কারোর মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে শেষকৃত্য কী ভাবে হবে? আদৌ কি দেহ পোড়ানো বা কবর দেওয়া সম্ভব? দেহ পৃথিবীতে ফিরে আসবেই বা কেমন করে? সম্প্রতি এই নিয়ে খোঁজখবর শুরু হতে সামনে এসেছে নাসার প্রটোকল।

এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে যে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে, অর্থাৎ বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানগুলিতে মানুষকে যতদূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে বা চাঁদে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে, তার বাস্তবসম্মত সমাধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্যাপসুলের মতো ‘সুইফ্ট রিটার্ন মেকানিজম’-এর (Swift return mechanism) মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যে পৃথিবীতে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। কিন্তু NASA বলছে এইরকম পরিস্থিতিতে মৃতদেহ সংরক্ষণের থেকে বেশি জোর দেওয়া হয় ক্রু-দের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল প্রোটোকলের উপর। কিন্তু যদি কোনো কারণে মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্য মৃতদেহ পৃথিবীতে ফিরতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মহাকাশে দেহ পোড়ানো বা কবর দেওয়া সম্ভব নয়। একজন মানুষকে পোড়াতে গেলে যথেষ্ট জ্বালানীর প্রয়োজন, যা মহাকাশযানে থাকে না। পাশাপাশি চাঁদ বা মঙ্গলের মাটিতে কবর দিতে গেলে ব্যাকটেরিয়া এবং অনুজীবের কারণে সেখানকার মাটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তাই মৃতদেহ একটি ব্যাগে সংরক্ষণ করা হয় এবং মহাকাশযান যখন পৃথিবীতে ফেরে তখন তা মহাকাশচারীদের (Astronauts ) সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয়।


 

 

 

 

Previous articleমাঝ আকাশে গলদঘর্ম!ইন্ডিগোর বিমানে বিকল এসি
Next articleশনিবার রাত থেকে নতুন করে অ*শান্ত মণিপুর, জ্বা*লিয়ে দেওয়া হল ১৫টি বাড়ি