কলকাতা থেকে অ.পহৃত সেনা কর্মী! তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ লালবাজারের গোয়েন্দাদের

লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সেনাকর্মীর নাম অরুণ গুলেরিয়া। তিনি অরুণাচল প্রদেশের ২০ শিখ রেজিমেন্টে সেনাবাহিনীর কর্মী। সেখানে তিনি রাঁধুনি হিসাবে কর্মরত।

টাকার প্রয়োজন। আর সেই টাকা হাতাতেই এবার বড়সড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন ভারতীয় সেনার এক কর্মী (Indian Army Staff)। কয়েকদিন আগেই রটে যায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর ওই কর্মী খাস কলকাতা (Kolkata) থেকে অপহৃত হয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই শহরে তোলপাড় পড়ে যায়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে লালবাজার পুলিশ (Lalbazar Police)। তবে কিছুদিন পর টাকার তাগিদেই মদ্যপ অবস্থায় নিজের বাড়িতে ফোন করে অপহরণের খবর দেন ভারতীয় সেনায় কর্মরত ওই যুবক। আর বিষয়টির তদন্ত করতে গিয়েই মাথায় হাত পুলিশ কর্তাদের। এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল তা কিনারা করতেই মাথায় হাত লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের।

লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সেনাকর্মীর নাম অরুণ গুলেরিয়া। তিনি অরুণাচল প্রদেশের ২০ শিখ রেজিমেন্টে সেনাবাহিনীর কর্মী। সেখানে তিনি রাঁধুনি হিসাবে কর্মরত। গত ১২ অগাস্ট শারীরিক পরীক্ষার জন্য অরুণ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে আসেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে নিজেই সটান নিউ মার্কেটে (New Market) চলে যান। সেখানে একটি হোটেলে নিজের পরিচয় দিয়ে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। সেখানে বসেই এই অপহরণের গল্প ফেঁদে পরিবারকে ফোন করেন। এরপরই পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে লালবাজারে যোগাযোগ করেন। আর তারপরই পরিষ্কার হয় আসল রহস্য।

পুলিশ সূত্রে খবর, আচমকাই বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন হয় ওই সেনাবাহিনীতে কর্মরত ওই যুবকের। সেই টাকা হাতাতে নিজেই নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদেছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মী। তাই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ফোন করে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করার ছক কষেছিলেন ওই সেনাকর্মী। কিন্তু তাঁর পরিবার পুলিশে খবর দেন। সেই খবর পেয়ে তদন্তে নেমে তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তবে অভিযুক্তকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লাল বাজারের তরফে। রবিবার লালবাজারের অপরাধদমন শাখায় অপহরণের অভিযোগ জমা পড়ে। তারপরই তদন্তে নেমে নিউ মার্কেটের হোটেল থেকে সেনাকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি তখন মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেই লালবাজার সূত্রে খবর। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে, তিনি নিজেই পরিবারের সদস্যদের অপহরণের গল্প বলেছিলেন এবং ৪০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন।

 

 

 

 

Previous articleক‍্যারিবিয়ানদের কাছে ম‍্যাচ হারের কারণ হিসাবে ব‍্যাটিং ব‍্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুললেন দ্রাবিড়
Next article‘ওয়ার্কশপ অন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো