রাজভবনে চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী, অন্ধকার থাকলে আলোও আছে: যাদবপুর নিয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের

প্রশাসনিক সৌজন্য। স্বাধীনতা দিবসের সন্ধেয় রাজ্যপালের ডাকা রাজভবনের চা-চক্র যোগদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, বিকেলে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী এদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যাদবপুর প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) জানান, অন্ধকার থাকলে আলোও আছে। দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত হয়ে দোষীরা শাস্তি পাবে। উপাচার্য নিয়োগ দ্রুত হবে বলে মন্তব্য আনন্দ বোসের।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রীতি মেনে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টার নাগাদ যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ বিশিষ্টরা। অ্যাডভোকেট জেনারেল ও বিদেশি অভ্যাগতরাও রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন।সন্ধে পৌনে ৬টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে নিয়ে রাজভবনে পিসরুম, বন্দিমুক্তির ফাইল আটকানো- একের পর এক বিষয় নিয়ে রাজ্য-রাজভবন দূরত্ব ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালার অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সন্ধেয় এই অনুষ্ঠানে একের পর এক তিরে রাজ্যপাল তথা রাজভবনকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যথেচ্ছাচার করছেন রাজ্যপাল। বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া বিল আটকে রেখেছেন তিনি। তুমুল আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কোনও বিল বা ফাইল রাজ্যপালের কাছে পাঠালে তিনি নয় মুখ্যসচিব, নয় স্বরাষ্ট্র সচিব, নয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠান। সকাল ছটা হোক বা রাত দশটা সঙ্গে সঙ্গে যেতে হবে! মমতার কথায় মনে হয় যেন আমরা সবাই রাজ্যপালের প্রজা।

যদিও এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, দ্রুতই যাদবপুরে উপাচার্য নিয়োগ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পড়ুয়া-সহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান আনন্দ বোস।

আরও পড়ুন- ছেলে আব্রামকে নিয়ে পতাকা উত্তোলন ‘জওয়ান’ শাহরুখের!

 

Previous articleছেলে আব্রামকে নিয়ে পতাকা উত্তোলন ‘জওয়ান’ শাহরুখের!
Next articleএগিয়ে থেকেও আর্মি রেডের বিরুদ্ধে ড্র মোহনবাগানের