এগিয়ে থেকেও আর্মি রেডের বিরুদ্ধে ড্র মোহনবাগানের

২১ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বাগানের হয়ে ১-০ করেন ভিয়ান। এরিয়াল বলে সুহেল ভাট হেড করেন।

এগিয়ে থেকেও ড্র করল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। কলকাতা লিগে ড্র করল বাগান ব্রিগেড।স্বাধীনতা দিবসের দিন আর্মি রেডের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করল তারা। ডার্বি হারের পরেও জয় পেল না সবুজ-মেরুন।

ম‍্যাচে এদিন ১২ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। অল্পের জন্য গোল পায়নি সবুজ মেরুন। যদিও গোলের জন‍্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাগান ব্রিগেডকে। ২১ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বাগানের হয়ে ১-০ করেন ভিয়ান। এরিয়াল বলে সুহেল ভাট হেড করেন। কিন্তু আর্মির কোনও ফুটবলার তা ক্লিয়ার করতে পারেননি সুযোগ বুঝে গোল করে যান ভিয়ান। হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এরপর পাল্টা আক্রমণ করে আর্মি রেড। ২৪ মিনিটে সুযোগ এসে গিয়েছিল আর্মির সামনে। বারে বারে মোহনবাগান রক্ষণের ভুল নজরে পড়তে থাকে। লিটন বারে বারে আক্রমণে উঠে আসতে থাকেন। তবে গোল পাননি এবারের কলকাতা লিগে ভালো খেলা এই ফুটবলাররা।প্রথমার্ধে ১-০ গোলেই এগিয়ে থাকে মোহনবাগান। এর মধ্যেই বেশ কয়েবার গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বাস্তব রায়ের ছেলেরা। তবে সুহেল ভাটরা গোল করতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে থাকে আর্মি ফুটবলাররা। রক্ষণের ভুলে ৪৭ মিনিটে গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। আর্মি রেডের হয়ে সমতা ফেরান সুখমিত সিং। জটলার মধ্যে থেকে গোল করেন তিনি। দু’বার বল পোস্টে লাগে। তবুও মোহনবাগানের কোনও ফুটবলার বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। তবে এই সমতা ফেরানোর পরেই ফের গোল খেয়ে যায় আর্মি। বাগানের হয়ে গোল করেন কিয়ান নাসিরি।ডানদিক থেকে ক্রস আসে। সেই বল দারুণভাবে মিট করে গোল করেন কিয়ান। ডানপায়ের ইনস্টেপে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ২-১ গোলে এগিয়ে গেলেও রক্ষণে নজর দেয়নি মোহনবাগান। তার ফল ভুগতে হয় ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। রাজ বাস্ফোর পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই বল হাতে লাগিয়ে ফেলেন। স্পট কিক থেকে গোল করে যান সোমরাজন।

আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রাক্তন কিংবদন্তি ফুটবলার মহম্ম‍দ হাবিব

 

 

 

Previous articleরাজভবনে চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী, অন্ধকার থাকলে আলোও আছে: যাদবপুর নিয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের
Next articleনির্বিচারে ধরপাকড়, সম্পত্তি ধ্বং.স ন্যায় বিচারের পথে বাধা, ‘বুলডোজার নীতি’র সমালোচনায় প্রধান বিচারপতি?