ভোটে হেরেই বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা! একশো দিনের কাজে কেন্দ্রের আসল স্বরূপ প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল  

রাজ্যের পাওনা আদায়ের দাবিতে ২ অক্টোবর দিল্লিতে আন্দোলনে সামিল হওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বাংলার মানুষ বিজেপিকে (BJP) ভোট দেয়নি। আর সেকারণেই মনরেগার (100 Days Workers) টাকা আটকে বাংলার মানুষদের উপর লাগাতার বদলা নিতে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government), বুধবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের (Saket Gokhle) তথ্য জানার অধিকার আইনে (Right to Information Act) করা আবেদনের জবাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, মনরেগা বা একশো দিনের কাজে বাংলার বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে। তবে রাজ্যের একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনায় বকেয়া আদায়ের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে রাজ্য সরকার। এদিকে রাজ্যের পাওনা আদায়ের দাবিতে ২ অক্টোবর দিল্লিতে আন্দোলনে সামিল হওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।

তবে এদিন মোদি সরকারের আমলে মনরেগায় বাংলাকে দেওয়া টাকার হিসাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে, ২০২২ এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাকে টাকা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে তথ্য জানার অধিকার আইনের জবাব আসার পর সাকেত গোখলে সাফ জানিয়েছেন, গরীব মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য চালু করা মনরেগা খাতে প্রতি বছর রাজ্যের প্রাপ্য ১১ হাজার কোটি টাকা। যদিও আরটিআইয়ের জবাবে মোদি সরকার জানিয়েছে, ২০২২ এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ হিসেব করলে স্পষ্ট হবে, মোদি সরকারের থেকে মনরেগা বাবদ রাজ্যের পাওনার অঙ্ক ১৭ হাজার কোটি টাকা। আর নির্বাচনে হেরে সেই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।

তবে এখানেই শেষ নয়, এদিন সাকেত টুইট করে জানান, শুধুমাত্র জিএসটি বাবদ বাংলা থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা পায় কেন্দ্রের মোদি সরকার। তবুও বাংলাকে লাগাতার বঞ্চনা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সাকেতের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারকে কয়েক কোটি গরীব মানুষ কর দেন। যদিও মনরেগায় কাজের অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরপরই সাকেত বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি কীভাবে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ায় বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে, তা নিয়ে দ্রুত সংসদে আলোচনা হোক।

অন্যদিকে, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্যের বকেয়া ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। যদিও রাজ্য থেকে প্রতি বছর কেন্দ্র ২ শতাংশ হারে জিএসটি আদায় করে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ট্রেডমার্ক ভুয়ো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন ডেরেক।

 

 

 

Previous articleপ্রবীণদের ‘কনসেশন’ নিয়ে মুখ বন্ধ, ঘুরিয়ে নাক দেখাবার চেষ্টা রেলমন্ত্রীর
Next articleবিফলে ১৯ তম ভারত-চিন সেনা বৈঠক, চিন্তা বাড়াচ্ছে LAC জটিলতা