বিজ্ঞানের নয়া বিস্ময় ‘রা.ক্ষস কণা’! প্রকাশ্যে গবেষণাপত্র

বিজ্ঞানের নয়া আবিষ্কার ‘রাক্ষস কণা’ (Demon Particle) সম্পর্কে আপনার কোনও ধারণা আছে? আজ থেকে ৭০ বছর আগে এই সম্পর্কিত একটা আন্দাজ বিজ্ঞানীদের মনে এলেও সাত দশক পরে তার সন্ধান মিলল।‘ঈশ্বরকণা’র (Higgs boson) অস্তিত্ব যেমন সত্যি ঠিক তেমনই ‘রাক্ষস কণা’ও (Demon Particle) রয়েছে।বিখ্যাত জার্নাল ‘নেচারে’ (Nature )এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ।

বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে যে ঈশ্বরকণা হচ্ছে হিগস বোসন (Higgs boson) নামক এক অব-পারমাণবিক (Subatomic) কণার ডাকনাম (nickname)। সাধারণ মানুষের ভাষায়, এই কণার ফলেই পদার্থ বিভিন্ন ধরনের ধর্ম পায়। এবার আসা যাক রাক্ষস কণার প্রসঙ্গে । বিখ্যাত পদার্থবিদ ডেভিড পাইন্স (David Pines) আজ থেকে প্রায় ৬ যুগ আগেই এই কণার উপস্থিতির কথা বলেছিলেন। এই কণা একধরনের অতিপরিবাহী কণা। অর্থাৎ এর মধ্যে একবার বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে রোধজনিত তাপক্ষয় না থাকায় তা নতুন উৎস ছাড়াই প্রবাহিত হতে থাকবে। এখন যে সব সুপরিবাহী (Superconductor) রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে এই ধর্ম বজায় রাখতে গেলে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকতে হয়। কিন্তু এখানেই বড় চমক। ইলিয়নিস বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Illinois) গবেষকরা এমন এক কণা খুঁজে পেয়েছেন যার আসলে কোনও ভর নেই এবং তা নিউট্রাল ও স্বচ্ছ। ফলে যে কোনও তাপমাত্রাতেই এটি নিজস্ব ধর্ম বজায় রাখতে পারে। সাধারণত সুপার কন্ডাক্টর কণাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষ করে এমআরআই (MRI) থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে ম্যাগলেভ ট্রেনের মতো অত্যাধুনিক ট্রেনে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ‘রাক্ষস কণা’ প্রযুক্তির দুনিয়ায় কম্পিউটার সিস্টেমকে কার্যত এক নয়া বিপ্লবে পরিণত করতে সক্ষম,অনুমান বিজ্ঞানীদের।

 

Previous articleদ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠক জয় শাহের, বিশ্বকাপের আগে দলকে বিরাট বার্তা বোর্ড সচিবের
Next articleযাদবপুর কাণ্ডের জের,মেডিক্যাল কলেজে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন এমএসভিপি