এক মাথা দুই মুখওয়ালা বাছুর! শুনতে ‘আজব’ মনে হলেও সত্যি

একটাই মাথা। কিন্তু দুটো মুখ।চোখও চারটে। শুনলে গল্প মনে হলেও এরকমই একটি গৃহপালিত পশুর দেখা মিলল কাটোয়ায়। সদ্যোজাত এই ‘গল্পের বাছুর’কে দেখতে কাটোয়ার মূলগ্রামের মাঠপাড়ায় সোমনাথ মাঝির বাড়িতে উপচে পড়া ভিড়।

আরও পড়ুনঃ নেই ১০০দিনের কাজ, বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিক! করমণ্ডল দুর্ঘটনার পরই সামনে এসেছিল কঠিন সত্যি
স্ত্রী, দুই ছেলের পাশাপাশি সোমনাথবাবুর সংসারে রয়েছে একটি গাই গরু। সম্প্রতি সেই গাই গরু জন্ম দিয়েছে একটি বাছুর। দিব্যি দুই মুখ দিয়ে মাতৃদুগ্ধও খাচ্ছে সে। আশ্চর্যজনক বাছুরের কথা মুখে মুখে চাউড় হতেই বাড়ছে মানুষের ভিড়। দূরদূরান্ত থেকে  বাছুর দেখতে সোমনাথের বাড়িতে (katwa) হাজির হচ্ছেন কৌতূহলী মানুষ।
গ্রামবাসীদের কথায়, গ্রামে এই ধরনের বাছুর ‘গল্পের বই’ ছাড়া আর কোথাও দেখা যায়নি। তাই এই ‘গল্পের বাছুরের’ অস্তিত্বকে খুঁজে পেতে গ্রামবাসীদের মধ্যে কৌতূহল বাড়ছে। তাঁদের কথায়, শুনেছি এই ধরনের বাছুর কয়েক ঘণ্টার বেশি বাঁচে না। বাছুরটি জন্ম নেওয়ার সময় দু’জন পশু চিকিৎসককে ডেকেছিলেন সোমনাথবাবু। তিনি বলেন, “ওঁরা অনেক কষ্টে বাছুরটিকে বের করেন। তখনই বলে গিয়েছেন, এই ধরনের বাছুর বেশিক্ষণ বাঁচবে না।”
কীভাবে এমন বাছুর জন্মালো তা নিয়েই আলোচনায় মশগুল গ্রামবাসীরা। কাটোয়া- ২ ব্লকের বিএলডিও ডাঃ জয়কিঙ্কর মান্না অবশ্য বলছেন, বিরল ঘটনা। তবে গড়ে এক হাজারের মধ্যে এরকম এক আধটা ঘটনা ঘটে। তাঁর কথায়, “জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কারণে গর্ভধারনের প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রুণ অবস্থাতে ভ্রুণের আংশিক বিভাজন হয়ে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে বাইসেফালিক বা পলিসেফালিক বা দুমাথার বাছুর সাধারণত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েকদিন বাঁচে। অতীতে এরাজ্যে এমন বাছুরকে ৪০ দিন পর্যন্ত বাঁচতে দেখা গিয়েছে।”

 

Previous articleবৃষ্টির জেরে রেললাইনে যান্ত্রিক ক্রুটি, শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত
Next articleএশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে কোহলি-রোহিতদের বিরাট বার্তা মহারাজের