সংখ্যা.লঘু উন্নয়নের শীর্ষে বাংলা, স্বীকৃতি কেন্দ্রের

কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখলেও বাংলার উন্নয়নকে স্তব্ধ হতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাকে ফের স্বীকৃতি কেন্দ্রের। দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাংলা (Minority development in West Bengal)প্রথম। মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট এন্ড ফিনান্স কর্পোরেশনের (Minority Development and Finance Corporation) তরফে এই কথা প্রকাশ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে সংখ্যালঘুদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া হয়, গোটা দেশের মধ্যে তা কার্যত নজিরবিহীন। এবার স্বীকৃতি দিল খোদ কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।

বাংলায় মা মাটি মানুষের সরকার যেভাবে একের পর এক উন্নতি করে চলেছে তাতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কোণঠাসা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বিপুল জনসমর্থন মিলেছে। কিন্তু বারবার তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। এমনকি বাংলার বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে আগামী মাসে দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলনের খসড়া তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখলেও বাংলার উন্নয়নকে স্তব্ধ হতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্প দেশ তথা বিশ্বে সম্মানিত হয়েছে। এবার সংখ্যালঘু উন্নয়নেও যে বাংলা পথপ্রদর্শক তা কার্যত স্বীকার করে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রের সরকার।

গত ৫ বছরে ‘ন্যাশনাল মাইনরিটিস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন’-এর বিভিন্ন প্রকল্প সবচেয়ে সার্থকভাবে রূপায়ণ করেছে বাংলা। তার জেরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক পুরস্কৃত করেছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্তনিগম’-কে। কেন্দ্রের বিচারে ‘র‍্যাঙ্ক ওয়ান’ হয়েছে বাংলা। সম্প্রতি সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিল নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্র। সেখানেই বাংলার সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গ্রামীণ এলাকায় যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ৯৮ হাজার টাকার মধ্যে এবং শহরে যাদের বার্ষিক আয় এক লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে, সেই সব সংখ্যালঘু পরিবারের বেকার ছেলে-মেয়েদের ব্যবসা করার জন্য মাথা পিছু ৫ লাখ টাকা ঋণ দেয় WBMDFC। ‘মাইনরিটি উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম’-এ হস্তশিল্পের জন্য সংখ্যালঘু মহিলাদের ৪০ হাজার টাকা করে ৩ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণের জেরে সংখ্যালঘু ছেলে-মেয়েদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কতটা ঘটেছে, সেটা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি সমীক্ষাও হয়েছে। ছ’টি জেলা মিলিয়ে অন্তত এক হাজার জনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন সমীক্ষকরা। আরও একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে নবান্ন। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের একাধিক বৃত্তি ও অর্থসাহায্যও করা হয় বাংলার সরকারের তরফে। এইসব কাজের জন্যই বাংলাকে কুর্নিশ জানালো কেন্দ্র।

Previous articleযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুম.কি চিঠি!
Next articleএক দেশ, এক নির্বাচন: সংবিধান পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠানো ধ্বং.সের লক্ষ্যে মোদি