১৮ বছর বয়সেই অ.পরাধ জগতে পা! রানাঘাটকাণ্ডে ধৃ.ত কুন্দনকে জেরায় একাধিক চাঞ্চ.ল্যকর তথ্য

রানাঘাটে (Ranaghat) গয়নার শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধৃত কুন্দন কুমার যাদবের (Kundan Kumar Yadav) সঙ্গে রাজু ঝা (Raju Jha) খুনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই লাগাতার কুন্দনকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধ জগতে হাত পাকানোর কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু করেছে কুন্দন। ডাকাতি, তোলাবাজি, খুন, লুঠপাট সহ অপরাধের তালিকা দীর্ঘ। পাশাপাশি বছর সাতেক আগে বিহারে পুলিশকর্মী হত্যাকাণ্ডের পিছনেও উঠে আসছে কুন্দনের নাম। ২০১৬ সালে বিহারের বৈশালি থানা গ্রেফতারও করে কুন্দনকে। সেই কুন্দনই কী নদিয়াকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিহারের বৈশালী জেলার বিদপুরে এক ব্যবসায়ীর থেকে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল কুন্দন। ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায়। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যবসায়ী। এরপর বিদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই প্রথম পুলিশের খাতায় নাম ওঠে কুন্দনের। গ্রেফাতার হয়ে কিছুদিন জেলও খাটে সে। জেলে থাকাকালীন অন্যান্য অপরাধীদের সঙ্গে মিলে নিজের গ্যাং তৈরি করে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধ জগতে শার্প শ্যুটার হয়ে ওঠে কুন্দন। তবে নিজের এলাকায় তোলাবাজি ছাড়া অন্য কোনও অপরাধ খুব একটা করেনি সে। বিহার ছেড়ে বাংলাতেই বেশি করে অপরাধমূলক কাজ করেছে কুন্দন।

এদিকে গত বুধবার নদিয়ার রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ে শার্প শুটার কুন্দন। ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের কয়লা মাফিয়া রাজেশ ওরফে রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সিট। সেই রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই খুনের তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। কুন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় পুলিশও কুন্দনকে একাধিক মামলায় জড়িত থাকার কারণে তাকে হেফাজতে নিতে চায়। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটরের বিভিন্ন থানা কুন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হেফাজতে নিতে চায়।

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, একই গ্যাং নিয়ে পরপর অপারেশন চলাতো না কুন্দন। গ্যাং তৈরির ক্ষেত্রে কুন্দনের একটা বিশেষত্ব রয়েছে। তার অধীনে ৯ থেকে ১০টি গ্যাং রয়েছে। প্রতিটি গ্যাংয়েই রয়েছে ৭ থেকে ৮ জন করে দুষ্কৃতী। তাদের প্রত্যেকের বয়স তিরিশের মধ্যে। এলাকার অল্পবয়সী ছেলেদের টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের দলে সামিল করত সে। গুলি চালানো হোক বা ডাকাতি, গ্যাংয়ের সমস্ত ছেলেদের নিজের হাতে প্রশক্ষিণ দিত কুন্দন। প্রতিটি অপারেশনের আগে নিজে গিয়ে এলাকা রেইকি করত। এক্ষেত্রে রাজু ঝা-কে খুন বা রানাঘাটে লুঠপাট চালানোর আগেও এমনটাই করেছিল কুন্দন।

 

 

 

 

Previous articleশাসনে আ.ক্রান্ত তৃণমূল নেতা! 
Next articleভিস্তারার সঙ্গে জুড়তে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া, মিললো সবুজ সংকেত