পুজোর বাকি ৪৪ দিন, ঘোড়ায় আগমনেই অশ.নি সংকেত !

শাস্ত্রমতে ঘোটকে আগমন এবং ওই বাহনেই গমন। আপাত নিরীহ শাকাহারী এই প্রাণীটিকে এমনিতে ভ*য় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সেই প্রাণীই যখন ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটে, তখন ভ*য় না পেয়ে উপায় কী!

দেখতে দেখতে এসে গেল বাঙালির মহোৎসব। আর মাস দেড়েক মতো বাকি। প্রতিমা তৈরি থেকে প্যান্ডেলের থিম সৃষ্টি – সবটাই চলছে জোরকদমে। পঞ্জিকা মতে এই বছর দেবীর আগমন ঘিরে বেশ চিন্তা রয়েছে। আসলে শাস্ত্রমতে মা দুর্গার (Maa Durga)আগমন এবং গমন ঘটে ৪ রকমের বাহনে চড়ে। সেগুলি হল, গজ অর্থাৎ হাতি, অশ্ব অর্থাৎ ঘোড়া, দোলা এবং নৌকা। এই প্রতিটিতেই মা দুর্গার (Maa Durga) আগমন এবং বিদায়ের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তার কোনওটির প্রভাব শুভ, কোনওটি অশুভ। এবার নাকি যে বাহনে দেবী আসছেন সেই বাহনেই গমন। তাহলে কি তা মহাপ্রলয়ের সংকেত? কী বলছেন পণ্ডিতরা।

শাস্ত্রমতে ঘোটকে আগমন এবং ওই বাহনেই গমন। আপাত নিরীহ শাকাহারী এই প্রাণীটিকে এমনিতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সেই প্রাণীই যখন ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটে, তখন ভয় না পেয়ে উপায় কী! দেবী দুর্গার (Durga Puja) বাহন সিংহ, তাঁর ৪ সন্তানেরও প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা বাহন রয়েছে। কিন্তু মা প্রতি বছর যখন আসেন তখন নিজের বা সন্তানদের বাহনে চড়ে আসেন না। সাধারণত দেবী যে বাহনে মর্ত্যে আসেন, ফেরেন অন্যটিতে। এই ৪ বাহনের প্রত্যেকটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে । যেমন গজে বা হাতিতে আগমন অত্যন্ত শুভ বলে ধরা হয়। এ রফল শস্যশ্যামলা ধরিত্রী। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়, খুশি হয় ম্যায়ের সন্তানেরা, মন হয় যেন শান্তি ধারা নেমে আসে ধরাধামে। নৌকায় আগমন কৃষি সমৃদ্ধির ইঙ্গিত। ফসলের ফলন ভাল হয়, পাশাপাশি আবার তা বন্যারও পূর্বাভাস। কিন্তু বন্যার জল সরে গেলেই উর্বর পলিমাটিতে চাষের কাজ ভাল হয়।কথিত আছে, দোলায় চেপে দুর্গার আগমন ঝড়-বৃষ্টি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস। এমনকী মহামারীও হতে পারে। কিন্তু ঘোড়ায় আগমন নিয়ে চিন্তা থাকছে।

শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন মা যদি ঘোটকে আসেন তবে তা আসলে অশুভ। দেখবেন ঘোড়া যখন দুরন্ত গতিতে ছুটে চলে, তখন খুরের চাপে ধুলো ওড়ে, তাতে ঢেকে যায় আকাশ, এমনকি রাস্তায় ভিড় থাকলে তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। রূপকের আকারে এই কথার আসল অর্থ সমগ্র দেশেই আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে কুপ্রভাব পড়ে। এর ফলে মানুষে মানুষে হানাহানি বাড়ে, দুর্ঘটনা ঘটে এমনকি রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে শুরু করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাস্ত্রবিদরা। এতে খরা এবং শস্যহানিও হতে পারে। সব মিলিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। কিন্তু অনেকেই বলছে যে মা যেহেতু স্বামীর ঘরে ফিরবেন ওই ঘোড়াতেই। সেক্ষেত্রে মর্ত্যবাসীকে বাঁচিয়ে দিয়ে যাবেন উমা।

Previous articleযাদবপুরের সেই মেইন হস্টেলে পরিদর্শনে ইসরো প্রতিনিধি দল
Next articleআরও অনেক পথ যাওয়া বাকি: কন্যার সমাবর্তনের ছবি পোস্ট করে অভিনন্দন আপ্লুত বাবা সৌরভের