যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি পেলেন যাদবপুরে মৃত পড়ুয়ার মা। লালবাজারে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

এর আগে, সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন যাদবপুরে মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা। ন্যায় বিচার তো বটেই, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল ও বগুলার যে হাইস্কুলে ছাত্র ছিল ছেলে, সেই হাইস্কুলের নামও তার নামেই করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, মায়ের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটি চাকরিও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডের প্রায় ১ মাস পর উপাচার্যকে কাছে জমা পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। ছাত্রমৃত্যুতে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্ব উঠে এসেছে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কমিটির মতে, ‘ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে র্যাগিংয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে’। শুধু তাই নয়, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন ইসরোর প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

যাদবপুরে মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা এখন কলকাতায়। মঙ্গলবার আলিপুরে ৯ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দেন ওই পড়ুয়ার মা। এরপর লালবাজারে গিয়ে প্রথমে জয়েন্ট কমিশনার(ক্রাইম) ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন দু’জনই। সঙ্গে ছিলেন পরিবারে আরও ১ সদস্যও। এদিন লালবাজারে যখন মৃত পড়ুয়ার মায়ের হাতে সেই চাকরির নিয়োগপত্রই তুলে দিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, তখন বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নাম বদলের প্রক্রিয়াও শুরু হল।


আরও পড়ুন- ইডির নোটিশ নিয়ে মুখ খুললেন নুসরত, কী বললেন সাংসদ-অভিনেত্রী?
