শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে চিংড়িঘাটা-নিউটাউন উড়ালপুল নির্মাণের কাজ, পুজোর আগেই দরপত্র

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত প্রস্তাবিত উড়ালপুলটি তৈরি হবে চার লেনের। চিংড়িঘাটা থেকে শুরু হয়ে ৬ কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুল নিক্কো পার্ক থেকে শুরু হয়ে ডান দিকে ঘুরে মহিষবাথানে গিয়ে শেষ হবে।

চিংড়িঘাটা (Chingrighata) থেকে নিউটাউন (Newtown) পর্যন্ত নতুন উড়ালপুল (Flyover) নির্মাণের কাজ শুরু করছে রাজ্য সরকার। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, পুজোর আগেই এই নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য দরপত্র ডাকা হতে পারে। জানা গিয়েছে, উড়ালপুল নির্মাণের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত প্রস্তাবিত উড়ালপুলটি তৈরি হবে চার লেনের। চিংড়িঘাটা থেকে শুরু হয়ে ৬ কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুল নিক্কো পার্ক থেকে শুরু হয়ে ডান দিকে ঘুরে মহিষবাথানে গিয়ে শেষ হবে। আর সেই উড়ালপুল থেকে ২টি র‍্যাম্প নামবে। একটি র‍্যাম্প নামবে কলেজ মোড়ের দিকে, অন্যটি নামবে গোদরেজ ওয়াটার সাইডের দিকে।

তবে কলেজ মোড়ের দিকে যে র‍্যাম্পটি নামবে সেটি দিয়ে উড়ালপুল থেকে নামা যাবে বলে খবর। অপরদিকে গোদরেজ ওয়াটার সাইডের দিকে যে র‍্যাম্প নামবে তা দিয়ে ওঠা যাবে উড়ালপুলে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (KMDA) এই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ করবে। তবে পরে এই দায়িত্ব রাজ্যের পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই উড়ালপুল তৈরির পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। তবে এই প্রকল্পের কাজ করবে পূর্ত দফতর। এত দিন যা যা করা হয়েছে, আমরা পুরোটাই পূর্ত দফতরকে বুঝিয়ে দেব। তিনি আরও জানান, কোন দফতর কাজ করল এটা বড় কথা নয়। যেই করুক আসল বিষয় হল, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার মধ্যেও রাজ্য সরকার এত বড় একটা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মৌখিকভাবে আলোচনার পরে  কেএমডিএ লিখিতভাবে প্রকল্পটি হস্তান্তর করবে। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে কী কী করণীয় সে বিষয়েও কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বানিয়ে কেএমডিএ পূর্ত দফতরকে তা যাচাইয়ের জন্য পাঠিয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেই ডিপিআর (Detailed Project Report) দেওয়া হবে খড়গপুর-আইআইটিকে। তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

 

 

 

 

 

 

Previous articleফের বিশ্বমঞ্চে সম্মানিত বাংলা, জি২০ সামিটে প্রশংসিত বাংলার ই আবগারি প্রকল্প
Next articleবাংলার কৃষকদের পাশে রাজ্য সরকার, চাষের সরঞ্জাম কিনতে বিপুল অনুদান ঘোষণা