শিক্ষামন্ত্রীকে টার্গেট করে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন রাজ্যপাল, কটাক্ষ কুণালের

রাজ্যপালের সই করা জোড়া কনফিডেন্সিয়াল চিঠির বিষয়বস্তু কী? কী রয়েছে নবান্ন ও দিল্লিতে পাঠানো চিঠিতে? উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাতের আবহে, তা নিয়েই জল্পনার স্রোত বইছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চরমে। তবে সেটা এখন আর নিছকই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগেই শুধু আটকে নেই। রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শব্দবাণ কার্যতই সেই সংঘাত আরও উসকে দিয়েছে। এমনকি ওই হুঁশিয়ারির মাঝেই রাজ্যপালের জোড়া গোপন চিঠি ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। রাজ্যপালের সই করা জোড়া কনফিডেন্সিয়াল চিঠির বিষয়বস্তু কী? কী রয়েছে নবান্ন ও দিল্লিতে পাঠানো চিঠিতে? উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাতের আবহে, তা নিয়েই জল্পনার স্রোত বইছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,  রাজ্যপাল অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন কিন্তু সমস্ত দায়ভার মুখ্যমন্ত্রীর ওপর চাপিয়ে দেবেন কেন। যেখানে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেই জট খুলে যায়, সেখানে কিসের এত ঔদ্ধত্য রাজ্যপালের।তিনি আরও বলেন, এই রীতিনীতি গুলোকে বিকৃত করে ব্যাখ্যা করার কোনও মানেই হয় না। রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের তো কোনও সংঘাত থাকার কথা নয়। কিন্তু তিনি যেভাবে চলছেন সেটাও কাম্য নয়। তিনি সংঘাতের পথ নিজে ডেকে আনছেন। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন, বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন।

কেন চিঠি রাতে সই করতে হয়? কীসের গোপনীয়তা? প্রশ্ন কুনালের।তার সাফ কথা, শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণ করার জন্য, বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য বিজেপির এজেন্টের কাজ করছেন মাননীয় রাজ্যপাল।তৃণমূলের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীকে টার্গেট করে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন রাজ্যপাল। আর এহেন পরিস্থিতিতেই ফের সামনে এল রাজ্যপালের মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছেন, তাঁকে আমি নতুন করে টেনশন দিতে চাই না।’

মূলত বৃহস্পতিবার কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার তার জবাব দিতে গিয়েই রাজ্যপালের উদ্দেশে ‘মহম্মদ বিন তুঘলক, ফাঁসুড়ে’-র মতো শব্দ ব্যবহার করেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার সকাল গড়াতেই রাজ্যপাল বলেন,’যা করেছি, তাতে গর্বিত আমি। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।’ তবে রাজ্যপালকে জবাব দিতে দেরি করেননি ব্রাত্যও

রাজ্যপাল চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরই ট্যুইটারে বিস্ফোরক মন্তব্য ব্রাত্য বসুর। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, কী ঘটে দেখুন। সাবধান, সাবধান, সাবধান! রাক্ষস প্রহরে’র জন্য উদগ্রীহ হয়ে অপেক্ষা করছি, যার উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনিতে।’  ‘আমার জুনিয়র অ্যাপয়ন্টির বক্তব্যের কোনও উত্তর দেব না’ব্রাত্যর চিঠি নিয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের। তবে গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে, তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যকে যা পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে এখন আলোচনার সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছেন, তাঁকে আমি নতুন করে টেনশন দিতে চাই না’।

 

 

 

 

Previous article‘বিছানায় শুয়ে মনে হচ্ছিল খাটটি উড়ে চলে যাবে’,মরক্কোয় ‘আতঙ্কের’ সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
Next articleরিপোর্ট পেশে ব্যর্থ সিবিআই! মঙ্গলেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ৯/১১-র শুনানি