আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মাঝরাতে হস্টেলে র‌্যা.গিংয়ের অভিযোগ

ওই পড়ুয়াদের হুমকি, শাসানি, ঘরে আটকে রাখা পর্যন্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ফের শহরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠলো। এবার অভিযোগ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রেও অভিযুক্তরা হস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক। সোমবার আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে। যদিও ডাক্তারি ছাত্র ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মঙ্গলবার সন্দীপবাবুর জায়গায় পদে যোগ দিতে আসেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের অন্য একটি জুনিয়র অংশ স্বাগত জানায় ও সংবর্ধনা দেয়।

অভিযোগ, এতেই বিক্ষোভকারী কিছু ছাত্র এপিসি রোডের বয়েজ হস্টেলে গিয়ে জুনিয়রদের উপর মাঝরাতে হামলা চালায় ও মানসিক অত্যাচার করে। বিষয়টি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ আকারে জানানো হয়। মিনজারুল চৌধুরী নামে এক আবাসিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন পুলিশ র‍্যাগিংয়ের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

ওই পড়ুয়াদের হুমকি, শাসানি, ঘরে আটকে রাখা পর্যন্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ। এই ঘটনার কথা কর্তৃপক্ষকে জানান হস্টেল সুপার। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

এদিকে হস্টেল সূত্রে খবর, রাত ২টো নাগাদ হস্টেলে ঢোকেন প্রাক্তনীরা। তাঁদের কারও কারও হাতে করাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। হস্টেলের মূল গেটের তালা কেটে ঢুকবে বলে তাঁরা করাত নিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগ।অন্যদিকে কয়েকজনের গায়ে চিকিৎসকের সবুজ অ্যাপ্রন ছিল। প্রশ্ন উঠছে, যাঁর গলায় স্টেথোস্কোপ থাকার কথা সেখানে কিনা তাঁর হাতেই করাত ছিল?‌ ইতিমধ্যে করাত হাতে প্রাক্তনীদের ওই শাসানির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যদিও এই ভিডিয়ো’‌র সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ। তবে ওই ভিডিয়ো–কে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।