CEC বিল নিয়ে সর্বাত্মক বি.রোধিতা! মোদিকে চিঠি দিচ্ছেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনাররা

সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Parliament Special Session)। আর তার আগেই প্রস্তাবিত নয়া সিইসি বিল (CEC Bill) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনাররা (Ex Election Commissioner)। জানা গিয়েছে দ্রুত এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Narendra Modi) চিঠিও লিখতে চলেছেন তাঁরা। বিশেষ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল আনতে চলেছে মোদি সরকার। আর সেই বিলেই কমিশনারদের পদমর্যাদা কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর তা নিয়েই চটে লাল প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনাররা।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমকক্ষ। আর আসন্ন বিলে পদের অবনমন করে ক্যাবিনেট সচিব করার কথা বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনারদের। আর তাতেই ক্ষুব্ধ প্রাক্তন কমিশনাররা। তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে শুধুমাত্র কমিশনারদের মর্যাদাই কমবে না, একসঙ্গে নির্বাচন কমিশন নামক প্রতিষ্ঠানটিরও অবনমন হবে। উল্লেখ্য এই বিলের সর্বাত্মকভাবে বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই চিঠি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেখানে স্বাক্ষর করছেন অন্তত তিনজন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে আসন্ন বিলের যে ধারায় নির্বাচন কমিশনারদের চাকরির শর্ত, বেতন, ভাতা ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে, সেটির ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনাররা।

প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশির অভিযোগ, নতুন বিলটি ভারতের নির্বাচন কমিশনের এবং শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মর্যাদাও কমিয়ে দেবে। নতুন নির্বাচন কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা হবে আমলাদের সমতুল্য, যা একজন প্রতিমন্ত্রীর চেয়ে কম। এ কারণে নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁদের অসুবিধা হবে। কুরেশি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন না করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে।

গত ১০ আগস্ট বাদল অধিবেশনে বিলটি রাজ্যসভায় আনা হয়। যদিও সেটি বিস্তারিত আলোচনা এবং পাস করানো হয়নি। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনে সেই বকেয়া প্রক্রিয়াটি সেরে ফেলতে চায় মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিলটির বিরোধিতা করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের জাতীয় মুখপাত্র ডঃ শামা মহম্মদ তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়া সারা দেশের কাছে একটি অনুপ্রেরণা। বিজেপি সরকারের প্রস্তাবিত বিল ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে এমন একটি ঘাতক বা ধাক্কা, যেখান থেকে আর কখনই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়।”

 

 

 

 

 

Previous articleমাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাইয়ে একগুচ্ছ শর্তাবলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
Next articleবাগানের বিরুদ্ধে ১০ জনে খেলেও দুরন্ত জয় DHFC’র, শুভেচ্ছা অভিষেকের