তদন্তে গতি আনতে আরও ৭০০টি ‘বডি ক‌্যামেরা’ কিনছে কলকাতা পুলিশ

এ ছাড়াও রাস্তায় কর্তব‌্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশকর্মীরাও সামলাবেন ট্রাফিক। ফলে এক্ষেত্রে বডি ক্যামেরার গুরুত্ব অনেকটাই থাকবে।

তদন্ত নিয়ে বিতর্ক এড়াতে এবং পুলিশের উপর হামলা রুখতে ওই ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানাগুলিকে পর্যাপ্ত বডি ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লালবাজার। বর্তমানে প্রতিটি থানার কাছে একটি বা দু’টি করে বডি ক্যামেরা রয়েছে, যা ডিউটি অফিসার বা তল্লাশি চালানোর সময়ে থানার অফিসারেরা ব্যবহার করেন।

এবার আরও তৎপর লালবাজার। আরও ৭০০টি ‘বডি ক‌্যামেরা’ কিনছে কলকাতা পুলিশ।উদ্দেশ্য, ডিউটিরত পুলিশকর্মীদের আরও বেশি সংখ্যককে বডি ক‌্যামেরা সরবরাহ করা। জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ভাঙড় একটা ফ্যাক্টর হয়েছে। কারণ, ভাঙড় আসছে কলকাতা পুলিশের আওতায়। আটটি থানা ছাড়াও নতুন একটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরা নিয়ন্ত্রণ করবেন ট্রাফিক। বাসন্তী হাইওয়ে থেকে শুরু করে ভাঙড় অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করবে। বসানো হবে স্পিড সাইনেজ। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চললেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে গাড়ির চালকদের। এ ছাড়াও রাস্তায় কর্তব‌্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশকর্মীরাও সামলাবেন ট্রাফিক। ফলে এক্ষেত্রে বডি ক্যামেরার গুরুত্ব অনেকটাই থাকবে।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় অঞ্চলের বাসিন্দারা এতদিন জেলা পুলিশের আওতায় ছিলেন। কলকাতার ট্রাফিক নিয়ে কড়াকড়ির ব‌্যাপারটি অধিকাংশেরই অজানা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন‌্য কড়াকড়ি ছাড়াও মদ‌্যপ চালক ধরতেও ভাঙড় অঞ্চলে শুরু হবে নাকা চেকিং। সেই ক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে গাড়ির চালক ও আরোহীদের বচসাও হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে পুলিশও। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম ব‌্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও পুজোর সময় সারা শহরজুড়েই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আরও কড়া ব‌্যবস্থা নেয়। সব মিলিয়ে আসল ঘটনা কী ঘটেছিল, তা জানতে বডি ক‌্যামেরার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

Previous articleবিশেষ অধিবেশনে ৩ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহেরু, ইন্দিরা, মনমোহনের প্রশংসায় মোদি
Next articleপদ্মাপারে সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে চরম হে.নস্থা! কলকাতা ফিরেই বি.স্ফোরক অভিনেত্রী সায়ন্তিকা