আর জি কর-এর ঘটনায় ক্ষু.ব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, বিক্ষোভকারীদের চ.রম বার্তা দলের

বিদেশ থেকেই আর জি কর মেডিক্যাল (RG Kar Medical College) কলেজের অধ্যক্ষ বদলি নিয়ে ঝামেলার খবর শুনে চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিল তৃণমূল। আর জি করের আগের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করে সেই জায়গায় নিয়ে আসা হয় মানস মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু সন্দীপ অনুগামীদের বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুদিন টানাপোড়েন চলে। স্পেনে বসেই মুখ্যমন্ত্রীর কানে যায় সেই। তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হন। হস্তক্ষেপ করেন ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। অবশেষে কাজ শুরু করেন মানস মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সন্দীপ অনুগামীদের এই আচরণ মোটেই ভালো ভাবে নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। দলের তরফে বিক্ষোভকারীদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে এই গাজোয়ারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

৮দিন আগেই সন্দীপ ঘোষকে আর জি কর মেডিক্যালের (RG Kar Medical College)  অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে পাঠানো হয়। সেই জায়গায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ থেকে আনা হয় মানস মুখোপাধ্যায়কে। তারপরেই শুরু হয় গোলমাল। মানসকে ঢুকতে না দিয়ে, অধ্যক্ষের ঘরে তালা দিয়ে চলে স্লোগান-বিক্ষোভ। পর পর চারদিন চলার পরে হস্তক্ষেপ করেন শান্তনু সেন। তিনি স্পষ্ট জানান, সরকার কোনও আলোচনার রাস্তায় যেতে চায় না। এ বিষয়ে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে রাজ্য। একই সঙ্গে সরকারি তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সহযোগিতার মৌখিক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে না হয়নি। বিষয়টি শুনেই স্পেনে বসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। শনিবার, আরজি করের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন:আউটডোর শ্যুটিংয়ে অসুস্থ, কলকাতায় ফিরলেন পরিচালক সন্দীপ রায়

এর পরেই সন্দীপপন্থীদের ডেকে কড়া বার্তা দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্পষ্ট জানানো হয়, সরকার নিজের গতিতে চলবে। দল নিজের গতিতে চলবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ আন্দোলনের পথে গেলে দল চরম পদক্ষেপ করবে। কোনও অসন্তোষ থাকলে তা দলের অন্দরে মিটিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এই ধরনের গাজোয়ারি বরদাস্ত করা হবে না।