‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দ বাদ! সাংসদদের দেওয়া ‘নয়া’ সংবিধানে বিতর্ক

নতুন সংসদ(Parliament) ভবনে কাজ শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। নয়া সংসদ ভবনে সাংসদদের হাতে দেওয়া হয়েছে নয়া সংবিধান(Indian Constitution)। তবে সাংসদদের হাতে দেওয়া নয়া এই সংবিধানের মুখবন্ধ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দদু’টি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর অভিযোগ, ২৪-এর নির্বাচনের আগে মোদি সরকার কাউকে কিছু না জানিয়ে সংবিধানের মুখবন্ধে কাটছাঁট করেছে, আগামী দিনে সংবিধানও পাল্টে ফেলা হবে।

মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন অধীর। তিনি বলেন, “নতুন সংসদভবনে যে সংবিধান হাতে প্রবেশ করি আমরা, তার মুখবন্ধে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দদু’টি ছিল না। সংবিধানে ওই দু’টি শব্দ না থাকলে, অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।” মঙ্গলবার সংসদভবনে ঢোকার মুখেও একই দাবি করেন অধীর। জানান, সাংসদদের দেওয়া সংবিধানের ইংরেজি কপিতে ‘সেক্যুলার’ এবং ‘সোশালিস্ট’ শব্দ দু’টি বাদ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান বদলে দেওয়ার চেষ্টা, সংবিধান নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বলে আক্রমণ শানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গেই সরকার সংবিধানের মুখবন্ধে এই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সরকারির অভিসন্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এই ঘটনায় অবশ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭৬ সালের আগে সংবিধানের যে রূপ ছিল সেটাই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এভাবে কী সংবিধানের প্রস্তাবনা পালটে দেওয়া যায়? সংবিধান সংশোধন বিশেষ করে প্রস্তাবনা সংশোধনের ক্ষেত্রে যেখানে নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। বিল থেকে শুরু করে ভোটাভুটি সব বাদ দিয়ে কীভাবে এটা পরিবর্তন করতে পারে সরকার? এপ্রসঙ্গে অধীর বলেন, “আমরা জানি ১৯৭৬ সালে সংশোধনী এনে এই শব্দগুলিকে যোগ করা হয়েছিল। এখন যদি কেউ এসে রাতারাতি জানায় শব্দগুলিকে আর রাখা হচ্ছে না, তাহলে তা চিন্তার বিষয় বৈকি।”

Previous articleকিরীটেশ্বরী সেরা পর্যটন গ্রাম: কেন্দ্রের ঘোষণায় দুবাই থেকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleকড়া পদক্ষেপ! কানাডার নাগরিকদের এবার ভিসা দেওয়া বন্ধ করল ভারত