একের পর এক থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে সং.ঘর্ষে ফের উত্তাল ইম্ফল! কার্ফু জারি

অশান্তি যেন থামতেই চাইছে না বিজেপি শাসিত মণিপুরে। বিজেপি সরকার সবরকম চেষ্টা করেও অশান্তি ঠেকাতে ব্যর্থ। সম্প্রতি মেইতেই গোষ্ঠীর পাঁচ যুবকের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইম্ফল-সহ মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাদের মহিলা সংগঠন মীরা পাইবিস এবং ইম্ফলের ছ’টি স্থানীয় ক্লাবের নেতৃত্বে পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে থানাগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখান মেইতেই সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার সেই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। একের পর এক থানা ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃপিএসজি-কে নিয়ে ফের মুখ খুললেন মেসি, প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন লিও

পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলের বেশ কিছু থানা ঘেরাও করেন শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী।শুধু তাই-ই নয়, জোর করে থানায় ঢুকে হামলাও চালানো হয় বলে অভিযোগ।পূর্ব ইম্ফলের অ্যান্ড্রো এবং পোরোমপাট থানায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে,পশ্চিম ইম্ফলের সিংজামেই, কোয়াকেইথেল এবং মায়াংয়েও বেশ কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
এদিকে, ইম্ফলের অন্যত্র যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে র‌্যাফ। গত শনিবার পাঁচ সশস্ত্র যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই গ্রেফতারির পর থেকেই আবার নতুন করে অশান্তি ছড়ায় রাজধানী ইম্ফল-সহ মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায়। মেইতেইদের দাবি, যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা গ্রামরক্ষক এবং স্বেচ্ছাসেবী। কিন্তু পুলিশের পাল্টা দাবি, ধৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। প্রথমে পাঁচ যুবকের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার মণিপুরে ৪৮ ঘণ্টার বন্‌ধ ডাকে মেইতেইদের মহিলা সংগঠন এবং ইম্ফলের বেশ কিছু স্থানীয় ক্লাব।কিন্তু তাতে পুলিশ সাড়া না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার ইম্ফলে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। তখনই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে।

 

Previous articleদলীয় কোন্দল চরমে, রাজস্থানে বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় অনুপস্থিত বসুন্ধরা রাজে 
Next articleবিয়ের জন্য রওনা পরিণীতি-রাঘবের, সাজো সাজো রব বিমানবন্দরে