মনিপুর ইস্যুতে রাজপথে প্র.তিবাদ তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের

মণিপুরের পাশে আমরা। আপনার স্বাক্ষর, আপনার প্রতিবাদ- এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার কলকাতার রাজপথে নামল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। মণিপুরের মহিলাদের উপরে অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন মহিলারা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৈফিয়ৎ চাইলেন, এতগুলো দিন কেটে গেল। মণিপুরের মহিলাদের উপরে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনি? কেন কেন্দ্র এবং বিজেপি শাসিত মণিপুর সরকারের এই রহস্যজনক নীরবতা? লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দু’টো বাক্য খরচ করেই দায়িত্ব শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী? মাথানত করে ক্ষমা চাইবার প্রয়োজনীয়তা বোধ করলেন না?

ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এদিন প্রতিবাদ সভায় নেতৃত্ব দেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি এদিন রূপ নিয়েছিল সামাজিক কর্মসূচির। থমকে দাঁড়িয়েছেন পথচলতি সাধারণ মানুষ। মণিপুরে মহিলা নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তাঁরাও। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসে স্বাক্ষর করেছেন স্মার্টবোর্ডে, জানিয়েছেন কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,ধিক্কার। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর ভাষণে প্রশ্ন তুলেছেন, সংসদে যে মহিলা বিল পাশ হয়েছে তার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন কোন মুখে? মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের দাবি তো তুলেছিলেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি। দেশের মানুষ এগিয়ে এসেছেন তাঁর এই দাবির সমর্থনে। আর মহিলা বিল সংরক্ষণ বিল পাশ হলেই কি সব সমস্যার সমাধান? মণিপুরের মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় কি কোনও দায়িত্ব থাকবে না কেন্দ্রের এবং সে রাজ্যের গেরুয়া সরকারের? ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্যে রবীন্দ্র-সৃষ্টিতে মণিপুরের রাজকন্যার কাহিনির প্রসঙ্গ আনেন তিনি। সেই মণিপুরেরই মহিলাদের উপর অমানবিক নির্যাতন বন্ধ করতে কেন্দ্রের ব্যর্থতায় বিস্ময়প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথার সূত্র ধরেই, মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সহ সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ মনে করিয়ে দেন, মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হওয়ার বহু আগেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন সংসদে। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে তিনিই প্রথম ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলা প্রতিনিধিদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনেও ৩৩ শতাংশের বেশি মহিলা প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। এটাই যে নারী ক্ষমতায়ণের এবং তাঁদের সম্মানরক্ষার প্রকৃত উদ্যোগ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন । সমাজে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে এ নিঃসন্দেহে এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন- লোকসভায় বিজেপি সাংসদের ‘কু.কথা’! মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সা.সপেন্ডের দাবি তৃণমূলের  

Previous articleবাংলায় দিদি মানেই মুশকিল আসান: হর্ষ নেওটিয়া
Next articleদুবাইয়ে বাংলা-আরবি সংস্কৃতির সেতুবন্ধনে রবীন্দ্রনাথ