আগামী ৫ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে হবে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত পর্বের শুনানি। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, সব মামলা একত্রিত করে শুনবেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ। তবে প্রতিটি মামলার আলাদা শুনানি হবে। এই মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের যাবতীয় রায় কালানুক্রমিক ভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা দেশের শীর্ষ আদালতে উঠেছিল।আর তাতে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, এতগুলি মামলা, কোনটি আমরা আগে শুনবো? আগে জানানো গিয়েছিল, প্রতিটি মামলা একযোগে শোনা হবে।

এসএসসি, প্রাইমারি সহ একাধিক মামলায় পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সহ একাধিক আলাদা বিষয় নিয়ে দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। গত মাসেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কতদূর এগিয়েছে তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই-র থেকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট চায় আদালত।

নিয়োগ মামলায় ইডি ও সিবিআই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই আলাদা করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতর সহ শিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্তাব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। বিশেষত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যের শিক্ষা সফরের একাধিক শীর্ষ পদস্থ কর্মকর্তারা জেল হেফাজতে রয়েছেন।
