অন্যায় ভাবে মনরেগা সহ অন্যান্য প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার(Modi Govt)। বকেয়া আদায়ের বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই ‘অহিংস আন্দোলন’। রাজধানীতে চলছে সেই আন্দোলনের(Protest) শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রাপ্য আদায়ে ২-৩ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলবে ধরনা কর্মসূচি। যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি কৃষি ভবনের সামনেও বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে চলবে ধরনা। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই দিল্লিতে পৌঁছাতে শুরু করবেন দলের নেতা, কর্মী থেকে মনরেগার শ্রমিকরা। তার জন্যও প্রস্তুতি পর্ব প্রায় সেরে ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ শ্রমিকের চিঠি বকেয়া আদায়ের দাবি নিয়ে রওনা হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশ্যে। তার মধ্যে কিছু চিঠি যাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আর কিছু চিঠি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর দপ্তরে । তৃণমূলের দাবি, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা এবং আবাস প্রকল্পের অন্তর্গত প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই উদ্দেশ্যেই ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে দিল্লি অবরোধে আসতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ।
সেই অনুযায়ী দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের দিল্লিতে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১ অক্টোবরের মধ্যে দলের বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজ্যের মন্ত্রী, পুরসভার কাউন্সিলরদের দিল্লি পৌঁছাতে বলা হয়েছে। ২ অক্টোবর সকালে রাজঘাটে গান্ধীজীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচী শুরু করবে তৃণমূল। মোট ১৫ জন সাংসদদের রাজঘাটে যাওয়ার কথা। দিল্লির কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং অন্যান্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সাংসদদের বাড়িতে। এছাড়াও দুটি হোটেলও বুক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই দিল্লির হ্যালি রোড এবং চাণক্যপুরী দুটি বঙ্গভবনে অন্য বুকিং নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের আমলা, আধিকারিকরা বঙ্গভবনগুলিতে থাকবেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- গোষ্ঠী কো.ন্দলে জেরবার বিজেপি, বারাসাতে জেলা সভাপতিকে ঘিরে বি.ক্ষোভ-হা.তাহাতি
এদিকে, একটি রাজ্যের তরফে যখন মনরেগার বকেয়া টাকা আদায়ে দিল্লিতে চলছে কর্মসূচির প্রস্তুতি, সেই সময় কার্যত উধাও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী। পূর্বেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ এবং লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং কোথায়? তাঁকে খুঁজছেন বাংলার মনরেগার কাজের টাকা না পাওয়া শ্রমিকরা।”