বঙ্গ রাজনীতিতে ‘কোণঠাসা’! সাংসদ পদ বাঁচাতে ফের নয়া কর্মসূচি দিলীপের

সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাস অর্থাৎ পুজোর মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন দিলীপ। মেদিনীপুর লোকসভা এলাকার গ্রামেগঞ্জের পুকুরে ছিপ নিয়ে বসতে দেখা যাবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে।

সময় যত গড়াচ্ছে ধীরে ধীরে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘কোণঠাসা’ হয়ে পড়ছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দলের নেতাদের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ট্রেনি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলবদলু তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও সম্পর্ক একেবারে আদায় কাঁচকলায়। এরই মধ্যে মুরলীধর সেনের সদর দফতরে ‘ঘরছাড়া’ হতে হয়েছে মেদিনীপুরের সাংসদকে। স্বভাবতই ধীরে ধীরে ‘রাজনৈতিক বনবাসের’ পথে তবে কী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) পা বাড়াচ্ছেন, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনি যে এত কমে এতটুকু দমবার পাত্র নন তা প্রমাণ করলেন দিলীপ। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে তাঁর গুরুত্ব কমলেও এতটুকু দমেননি দিলীপ। আর সেকারণেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই নিজের গড় বাঁচাতে এবার ময়দানে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর সেকারণেই এবার নয়া জনসংযোগের চেষ্টায় দিলীপ। এবার তাঁর নতুন কর্মসূচি ‘গ্রামে চলো, মাছ ধরো’। আর আচমকা এমন কর্মসূচি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি সাংসদকে।

 

সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাস অর্থাৎ পুজোর মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন দিলীপ। মেদিনীপুর লোকসভা এলাকার গ্রামেগঞ্জের পুকুরে ছিপ নিয়ে বসতে দেখা যাবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বিধায়ক থাকার সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু তাঁর সমস্ত প্রচেশটাই বানচাল হয়ে গিয়েছে। এবার নিজের সাংসদ পদ ধরে রাখতে ছিপ হাতে মাছ ধরতে দেখা যাবে দিলীপ ঘোষকে। তবে পুজোর মরসুমে দিলীপের কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদের সাফাই, আমি গ্রামের ছেলে। আর গ্রামের মানুষ হওয়ার কারণেই আমি সব কাজই পারি এবং সেগুলি করতে ভালোবাসি। এবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে একদিন থাকব, মাছ ধরব, খাওয়াদাওয়া করব এবং রাত্রিবাসও করব।

তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ‘দিলীপ দাকে বলো’, ‘চা চক্রে দিলীপ দা’ নামে একাধিক কর্মসূচি করেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে ফলাফল বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির পদও খোয়াতে হয়েছে মেদিনীপুরের এই বঙ্গ সন্তানকে। এখন টিকে আছে শুধুমাত্র সাংসদ পদ। আর সেকারণে সেই পদ ধরে রাখতেই নানা ফন্দি আঁটছেন দিলীপ। তবে এসব করেও বঙ্গ রাজনীতিতে দিলীপ যে নতুন কিছু করে দেখাতে পারবেন না তা নিয়ে বিজেপি শিবিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে দিলীপের এই নয়া কর্মসূচি আদৌ সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে পারবে কী না তা সময় বলবে।

 

 

 

Previous articleবিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে এবার বিশেষ চমক আশার গান, ওইদিনই ক্যাপ্টেনস ডে
Next articleইন্ডিয়া জোটে আপ-কংগ্রেস কাজিয়া, মুখ খুললেন সপা প্রধান অখিলেশ