যা ঘটেছিল আজকের দিনে একনজরে

মেঘনাদ সাহা

১৮৯৩ মেঘনাদ সাহা(১৮৯৩-১৯৫৬)

এদিন জন্মগ্রহণ করেন। স্বনামধন্য পদার্থবিদ। স্বয়ং আইনস্টাইন তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, “Dr. M.N. Saha has won an honoured name…”। বাংলাদেশের এক অজপাঁড়া-গাঁ (ঢাকার সেওড়াতলি)-এর দরিদ্র ও নিম্নবর্ণের হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিলেন। কেবল একজন বিনম্র শিক্ষার্থীই ছিলেন না, ভারতের স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবে জড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯২০-এর দশকে নক্ষত্রের বর্ণালি বিশ্লেষণে তাপীয় আয়নীকরণ তত্ত্বে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে আমৃত্যু বিজ্ঞানের জন্য এবং বিজ্ঞানমনস্কতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিরন্তর কাজ করে গেছেন। লোকসভার সদস্য ছিলেন। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পরিকল্পনা কমিশনের সভায় যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

১৯৩৩ অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (১৯৩৩-২০০০)

এদিন জন্ম নেন। বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি। তিনি ২০টিরও বেশি কবিতার বই লিখেছেন, বাংলা এবং সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন, এবং জার্মান ও ফরাসি সাহিত্য থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। বহুবার দিকবদল করেছেন তাঁর কবিতাযাত্রায়। শব্দনির্মাণের মুদ্রাটি ছাড়াও আরও একটি মুদ্রাকে তিনি তাঁর নিজস্ব কাব্যভাষার অঙ্গ করে নিয়েছিলেন— কবিতার জন্মমুহূর্তের দ্যোতনাকে তিনি প্রায়ই স্থাপন করেন এক পটচিত্রকথার বয়নে, যাতে স্মৃতি থেকে উঠে আসে ইতিহাস-পুরাণ-বর্তমানের নানা চরিত্র, কখনও চেনাজানা সমকালীন মানুষও, কল্পভূমিকায়, কল্পভাষে; কখনও বা সরাসরি ব্যক্তিস্মৃতির বাস্তবতায়; অনুষঙ্গরূপকের এক বিচিত্র মাত্রায়। স্বগত কবিতা থেকে সংলাপিকা, কবিতার সীমা ক্রমাগতই প্রসারিত করে চলেছিলেন অলোকরঞ্জন। এই শতাব্দীর গোড়ায় সমবায়ী শিল্পের গরজে প্রবন্ধগ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখলেন, ‘কবিতাকে আজ আর একচোরা হয়ে ভাবের ঘরে চুরি করা মানায় না। তাকে থেকে থেকেই চিত্রকলা, সংগীত বা ফিল্মের কাছ থেকে আঁজলা ভরে রসদ নিতে হয়। অন্যদিকে মিশ্রশিল্পের গূঢ় মন্ত্রণায়, সৃষ্টির নানামুখী প্রকাশচর্যারও কি এখন কবিতার কাছে শরণার্থী হওয়ার কথা নয়?’ অনেকেই মনে করেন অলোকরঞ্জন বেঁচে থাকলে যে প্রকল্পটির বোধন হত, তার পরিণামে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ‘দেশদ্রোহী’ বলে চিহ্নিত হয়ে ভারাভারা রাও-এর সহকারাবাসী হতেন।

লেফটেন্যান্ট জেমস কুক

১৭৬৯  লেফটেন্যান্ট জেমস কুক

এদিন ১৫ হাজার মাইল ভ্রমণ করে নিউজিল্যান্ডের বুকে পা রাখেন। তিনিই প্রথম ইউরোপীয় যিনি এদেশে পদার্পণ করেন। পরবর্তী ছয় মাস তিনি এই দেশের সমুদ্র সৈকতে ঘুরে ঘুরে কাটান, সেগুলি নামকরণ করেন, মানচিত্র রচনা করেন। স্থানীয় আদিবাসী মাওরি জনজাতির লোকেরা ঠিকই সন্দেহ করেছিল, কুকের অভিযানের পরিণতিতে সেদেশে আসবে বণিকের দল, আধুনিক প্রযুক্তি, গড়ে উঠবে নয়া উপনিবেশ।

চিয়াং কাই শেক

১৯২৮ এদিন চিনের নতুন প্রসিডেন্ট হন চিয়াং কাই শেক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চিনের গৃহযুদ্ধে তিনি চিনা কমিউনিস্টদের কাছে পরাজিত হন এবং ১৯৪৯-এ তাইওয়ানে সরে আসতে বাধ্য হন। সেখানে তিনি আমৃত্যু জাতীয়তাবাদী চিনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৩ ইহুদি পঞ্জিকার অন্যতম পবিত্র দিন ‘ডে অফ অ্যাটোনমেন্ট’ পরিণত হল রক্তাক্ত এক দিনে। উপবাস আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তারা যখন দিনটি পালন করছিল তখনই হানা দেয় আরবের সেনাবাহিনী। মিশরীয় ও সিরীয় সেনাদের ইজরায়েলে চকিত আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল ১৯৬৭ সালে পরাজয়ের বদলা নেওয়া।


Previous articleমুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বং.সী অ.গ্নিকাণ্ড! ঝল.সে মৃ*ত অন্তত ৭, আহ*ত বহু
Next articleকামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁ.সির সাজাই কি বহাল থাকবে? আজ নজর হাইকোর্টে