জঙ্গলে (Jungle) কাঠ কুড়োতে গিয়ে এবার গণধর্ষণের (Gangraped) শিকার এক আদিবাসী নাবালিকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসায় (Kanksa)। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালিকাকে বিবস্ত্র অবস্থায় জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাঁকসায় জঙ্গলে বান্ধবীর সঙ্গে কাঠ কুড়াতে যায় নাবালিকা। তারপরই এমন মর্মান্তিক পরিণতি। ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে গুরুতর অসুস্থ ওই নাবালিকাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানা এলাকায় কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার দুই নাবালিকা পাশের জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে যায়। বিকেলে বাড়ি ফিরে আসার সময় এলাকার চার যুবক ওই দুই কিশোরীর পথ আটকায়। সেই সময় এক কিশোরী কোনও রকমে সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে বাঁচলেও অপর কিশোরীকে ধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। এদিকে ঘটনার কথা সামনে আসতেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ। পরে ওই বান্ধবী বাড়িতে গিয়ে বাবাকে সবটা জানালে নাবালিকার বাবা জঙ্গলে গিয়ে ঘন্টা দুয়েক পর মেয়েকে বিবস্ত্র এবং অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে এরপরই অভিযুক্তরা নির্যাতিতার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে এবং কোনওভাবেই পুলিশকে খবর দিতে নিষেধ করে। পুলিশের কাছে গেলে তাঁদের গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী জানান, আমরা ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই দোষীদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
