জেলে পূর্ণ সময়ের সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু তার সেই আবেদনও বিফলে গেল। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করার জন্য এসএসকেএমের চিকি্ৎসকদের দ্বারস্থ হন।চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, পার্থর শারীরিক অবস্থা মোটেই উদ্বেগজনক নয়। এরপরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ ফেরাল প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৪ মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ।বারবার নিজের শারীরিক অবস্থার কথা বলে আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছেন।কিন্তু সেই জামিন মঞ্জুর হয়নি।জানা গিয়েছে, জেলে ওঠা-বসা, হাঁটা-চলায় অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে পূর্ণ সময়ের সহায়ক চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।সেই চিঠি পাওয়ার পরেই প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের তরফে এসএসকেএম হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়। গত সপ্তাহে তিন সরকারি চিকিৎসক জেলে এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পরীক্ষা করেন।চিকিৎসকরা প্রাক্তন মন্ত্রীকে দেখে কিছু ওষুধ লিখে দেন। শুধুমাত্র ব্যায়ামের সময় সাহায্যকারী দেওয়া যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।সেই সময় পার্থর আইনজীবী দাবি করেন, ‘পার্থর গ্রেফতারির পর প্রায় দেড়বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সিবিআই শুধু বলছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’ সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বয়সজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে রয়েছে নানারকম শারীরিক অসুস্থতা।কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল করে বলেন, ‘পার্থর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, মামলায় অনেকে যুক্ত’। এরপরই আদালত জামিনের আর্জি নাকচ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।প্রকাশ্যে আসে ৫০ কোটি টাকা নগদ আর রাশি রাশি অলঙ্কারের! এর এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই থেকেই তিনি এখনও পর্যন্ত জেলে।