নবান্নের ঐকান্তিক চেষ্টায় পুজোর আগে কাটল জট, ৭১ ব.ন্দি মুক্তিতে অনুমোদন রাজ্যপালের

রাজ্যপাল অনুমোদন না দেওয়ায় এবার স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রথা মাফিক ওই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া যায়নি।

স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতে আটকে গিয়েছিল বন্দি মুক্তি। রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টায় পুজোর আগে কাটল জট। রাজ্যপালের অনুমোদন মেলায় নজির বিহীন ভাবে এবার পুজোর আগে জেল থেকে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ৭১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপাল অনুমোদন না দেওয়ায় এবার স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রথা মাফিক ওই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া যায়নি।

পুজোর আগে তাদের মুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রাজ্যপালকে ফাইল পাঠানো হয়। শুক্রবার রাজ্যপাল ওই ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দি মুক্তির বিষয়টি নিয়ে নবান্নের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এ বিষয়ে কথাও বলতে চেয়েছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে।
৭১ জন ভারতীয় বন্দি ছাড়াও ১৬ জন ভিনদেশী নাগরিকের মুক্তির জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে বলে রাজ্যপাল জানান। একই সঙ্গে আগামী দিনে রাজভবন ও রাজ্য সরকার যাতে সুসংহত ভাবে এই বন্দি মুক্তির বিষয়টি স্থির করতে পারে এজন্য একটি যৌথ কমিটি গঠনেরও তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন।

প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে বেশকিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয় সংশোধনাগার থেকে। বন্দিদের আচার-আচরণ সহ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে কারা কারা মুক্তি পাবে। রাজ্যের কারা দফতর সেই তালিকা তৈরি করে থাকে। নিয়মানুযায়ী, কাদেরকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের তালিকা রাজ্যকে পাঠাতে হয় রাজভবনে।এবারের স্বাধীনতা দিবসের আগেও সেই তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু এই তালিকা নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, উৎসবের মরসুমে পুজোর আগেই ৭১ জন বিচারাধীন বন্দিদের মুক্তির জন্য রাজ্যপালকে ফের চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। সেই চিঠি পাওয়ার পর একাধিক বিষয় নিয়ে জানতে চেয়ে রাজ্যপাল চিঠি দেন স্বরাষ্ট্রসচিবকে। শেষ পর্যন্ত অনুমোদন মেলায় জটিলতা কাটল।

Previous article‘ম‍্যাচের দিনই পিচ দেখে ঠিক হবে প্রথম একাদশ’, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে বললেন রোহিত
Next articleনিয়োগ মামলার ত.দন্তে পার্থকে জেলে গিয়ে ফের জেরা করল সিবিআই