রাজ্যের সঙ্গে নানা কারণে ঠান্ডা লড়াই চলে রাজভবনের। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছেন- এই অভিযোগ ওঠে। তবে দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীতে সব ভেদাভেদ ভুলে সুকিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীর পুজোয় তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পাশে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দিলেন বাংলার রাজ্যপাল। এই প্রথম পুজোয় অঞ্জলি দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাংলার দুর্নীতি নিয়ে যাঁকে পরোক্ষে নানা কথা বলতে শোনা যায়, সেই রাজ্যপাল তাঁর লিখিত ভাষণে জগৎ থেকে দুর্নীতি-হিংসা দূর হয়ে যাক-এই এই প্রার্থনা জানালেন।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ আদ্যোপান্ত বাঙালি সাজে রামমোহন সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপে হাজির হন রাজ্যপাল। তাঁকে স্বাগত জানান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁরই পাড়ার পুজো এটি। মণ্ডপ ঘুরে দেখেন আনন্দ বোস। কুণালের পাশে দাঁড়িয়েই মহাষ্টমীর অঞ্জলি দেন। এই প্রথম অঞ্জলি দিলেন রাজ্যপাল বোস। এরপর মঞ্চে উঠে লিখিত ভাষণ পাঠ করেন তিনি। আর সেখানে বাংলার বিরুদ্ধে কোনও কথা নয়, তার ভাষণ জুড়ে ছিল বিশ্ব থেকে হিংসা’দুর্নীতি-অস্থিরতা দূর হওয়ার প্রার্থনা। যে রকমভাবে আপামর বাঙালি দেবী দুর্গার কাছে জগত সংসারের শান্তির প্রার্থনা করে বলেন, “শান্তি রূপেণ সংস্থিতা”। সেই ভাবেই আনন্দ বোসও বিশ্ব থেকে হিংসা দূর হওয়ার আবেদন জানালেন।
এখানেই শেষ নয়, যে গানটিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের গান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, সেই “বাংলার মাটি বাংলার জল” মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুধু শুনলেন নয়, গাইলেনও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সবমিলিয়ে একটাই কথা বলা যায়, “মেলালেন তিনি (দেবী দুর্গা) মেলালেন”।