একটুর জন্য সেঞ্চুরি মিস, বড় রান তাড়া করতে বিশ্বকাপে ফের বিরাট ম্যাজিক!

ভারতের এই অনবদ্য জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৪ রানের। কিং কোহলি (Virat Kohli) তখন ৯২ নট আউট, দলের জিততে দরকার ৮ রান আর ৪৯ তম সেঞ্চুরি করতে বিরাটেরও ঐ সংখ্যাটাই দরকার। উল্টো দিকে তখন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। যোগ্য সঙ্গত করছিলেন চেজ মাস্টারের সঙ্গে। ২০১৯ এর সেমিফাইনালের পুনরাবৃত্তি হবে কিনা এই আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল একটা সময়। সব কাটিয়ে ভারত (Team India)যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন গোটা স্টেডিয়াম দাঁড়িয়ে আছে একজন মানুষের সেঞ্চুরি দেখবে বলে। কখনও কঠিন লক্ষ্য, কখনও রোমাঞ্চ ,কখনও এবার রান আউটের ধোঁয়াশা সবমিলিয়ে প্রতিমুহূর্তে বিনোদনে ভরপুর ধর্মশালা ম্যাচ। কিন্তু বিরাট গতি থামল ৯৫ রানে। বড় রান পেতে গিয়ে কিং যখন আউট হলেন তখন গোটা স্টেডিয়াম এক নিমেষে থমকে গেল। যদিও প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয়গাথা তার আগেই লিখে ফেলেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে লিগ শীর্ষে টিম ইন্ডিয়া। ২ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল ভারত (Indian Cricket Team)।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠানো হয় নিউজিল্যান্ড দলকে। রোহিত (Rohit Sharma) জানতেন তাঁর কাছে লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ আছে। তাই বড় রান তাড়া করাটা খুব একটা অসুবিধার হবে না। কিন্তু ধর্মশালায় যেভাবে শিশির পরে তাতে সূর্য ডুবলে বোলিং করাটা সমস্যা হতে পারে। সমস্যা হল ঠিকই তবে সেটা শিশিরের থেকেও বেশি কুয়াশা নিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে সবে মাত্র ১৫ ওভার খেলা হয়েছে। আচমকাই সাদা কুয়াশায় ঢেকে গেল স্টেডিয়াম। প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল দুইদলের ক্রিকেটারদের। অল্প সময়ের বিরতি পরেই আবার খেলা শুরু। রোহিত যে শো শুরু করেছিলেন, বিরাট তা শেষ লগ্ন পর্যন্ত ধরে নিয়ে গেলেন। আর অল্প সময়ের জন্য মাঠে নেমে এই বিশ্বকাপে প্রথম ব্যাট হাতে ভরসা জোগালেন অলরাউন্ডার জাডেজা। উইনিং শট এল তাঁরই ব্যাটে। স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং মহম্মদ সামি ও জসপ্রীত বুমরার। বিশ্বকাপে বরাবরই জ্বলে ওঠেন সামি। এবারেও ব্যতিক্রম হল না।

এদিন বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করলেন রোহিত। ওডিআইতে করে ২ হাজার রানের মাইলফলকে শুভমন। কিন্তু ব্যাক টু ব্যাক আউট হলেন দুজনেই। ফ্রিজে তখন টিম ইন্ডিয়ার স্তম্ভ বিরাট কোহলি। অনবদ্য ফিল্ডিং করেও কিউইরা নীল জার্সির রান মেশিনকে আটকাতে পারলেন না। ১০৪ বলে ৯৫ করলেন বিরাট। মাইল ফলকের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে তাঁর আউট হয়ে যাওয়াটা যেন বিরাটের সতীর্থরাও মানতে পারছিলেন না। তবে যেটা আজ হয়নি সেটা আগামী ম্যাচে হবে, এমনটাই বলছেন ফ্যানেরা। সবথেকে বড় কথা হল নিজের জীবনের সেরা ইনিংস খেলছেন কোহলি। ম্যাচের বয়স, পরিস্থিতি আর পিচের অবস্থা বুঝে শট নির্বাচন করছেন। ভারত যখনই বড় রান তাড়া করতে গিয়ে বিপদে পড়ছে, একদিকে দেওয়ালের মতো তিনি দাঁড়িয়ে থাকছেন এবং টিমকে একের পর এক ম্যাচ জেতাচ্ছেন। কুড়ি বছরের খরা ২০০৩ সালের পর আইসিসি ইভেন্টে নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত। ভারতের এই অনবদ্য জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Previous articleউৎসবের আমেজে জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের আশ.ঙ্কা, ফুঁ.সছে দুই সাগর
Next articleসিঙ্গুরে দুর্গাপুজোয় স.ম্প্রীতির বার্তা, উদ্বোধনে বেচারাম মান্না