ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৪-১ গোলে হার DHFC’র

নিজেদের মাঠে এদিন দর্শক সমর্থন নিয়ে উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবারও পাল্টা জবাব দেয় তাদের।

কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের নিয়মরক্ষার সুপার সিক্সের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লড়েও হার ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের। সোমবার খেলা ছিল ময়দানে ইস্টবেঙ্গল মাঠেই। এমনিতে লিগ চ্যাম্পিয়ন আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তাই সুপার সিক্সের বাকি ম্যাচগুলো কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগ্রহ যেটুকু ছিল লিগ রানার্স নিয়ে। ডায়মন্ড হারবার ও ইস্টবেঙ্গলই রানার্স হওয়ার দৌড়ে ছিল। কিন্তু সোমবার লাল-হলুদের কাছে ১-৪ গোলে হেরে যাওয়ায় কলকাতা লিগে রানার্স হওয়ার আর কোনও সুযোগ রইল না কিবু ভিকুনার দলের কাছে। বরং ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের লিগ রানার্স হওয়া প্রায় নিশ্চিত। ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট ডায়মন্ড হারবারের।

নিজেদের মাঠে এদিন দর্শক সমর্থন নিয়ে উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবারও পাল্টা জবাব দেয় তাদের। তুল্যমূল্য লড়াই হয় ম্যাচের প্রথমার্ধে। যদিও ইস্টবেঙ্গলই ঘরের মাঠে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায়। বিরতির আগেই রাহুল পাসোয়ান গোল করে ডায়মন্ড হারবারকে খেলায় সমতায় ফেরান। ১-১ স্কোরলাইনেই বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে ডায়মন্ড হারবার রক্ষণ কার্যত দাঁড়িয়ে যায়। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি থেকে মহীতোষ রায়ের গোলে ব্যবধান ২-১ করে বিনো জর্জের দল। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য খুশি নয় ডায়মন্ড হারবার। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে কিবুর দল। কিন্তু এদিন সব কিছু ঠিকঠাক ছিল না ডায়মন্ড হারবারের। দুই সাইড ব্যাক নিজেদের সেরা জায়গায় ছিলেন না। সেন্ট্রাল ডিফেন্সও ভরসা দিতে পারেনি। মাঝমাঠও খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। ফলে ডায়মন্ড হারবার রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে আরও দু’টি গোল করে তারা। লাল-হলুদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে তুহিন দাস। চতুর্থ গোল অভিষেক কুঞ্জমের।

এই ম‍্যাচের পর ডায়মন্ড হারবার ক্লাবের সচিব প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের রানার্স হওয়ার কোনও আশা রইল না। কলকাতা লিগ এভাবে চলতে পারে না। লিগ চ্যাম্পিয়ন আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। আর আমরা প্রায় এক মাস পর লিগের ম্যাচ খেলতে নামছি। কলকাতা লিগের জন্য চুক্তিবদ্ধ বেশ কিছু ফুটবলারকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমরা আই লিগের জন্য তৈরি হচ্ছি। তার জন্য নতুন ফুটবলার নিয়েছি। নতুনদের তো আর কলকাতা লিগে নিয়মরক্ষার ম্যাচে খেলাতে পারি না! এবারের স্থানীয় লিগ নিয়ে আমাদের আর কোনও আগ্রহ নেই। ডায়মন্ড হারবার এখন শুধুই তৃতীয় ডিভিশন আই লিগ নিয়ে ভাবছে।”

আরও পড়ুন:মুখ্য নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ইনজামাম

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, আলিপুর জেল মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হবে চালতাবাগান সর্বজনীনের দুর্গা মূর্তি
Next articleআবগারি দু.র্নীতি মা.মলায় এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে তলব ইডির