বিজেপি নেতারা চোর-লম্পট, দলত্যাগী নেত্রীর পোস্ট ঘিরে অস্বতিতে গেরুয়া শিবির

এক সময় উত্তরপাড়ায় বিজেপির দাপুটে নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন কাকলি ভট্টাচার্য। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ২০২২ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয়

নাম না করে দলের রাজ্য নেতা থেকে মণ্ডল সভাপতি, সকলের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিজেপির এক দলত্যাগী মহিলা নেত্রী। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির গেরুয়া শিবিরে। উত্তরপাড়ার ওই দলত্যাগী দাপুটে নেত্রী দলের বাইরে এসে যে যে অভিযোগ করছেন, দলের মধ্যেও অনেক তাকে সমর্থন করেছেন।
আদি বিজেপি কর্মীরা অনেকেই মনে করছেন, তাঁদের কথাই রাখঢাক না রেখে বলে দিয়েছেন নেত্রী। ফলে লোকসভা ভোটের আগে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলায় প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি।

এক সময় উত্তরপাড়ায় বিজেপির দাপুটে নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন কাকলি ভট্টাচার্য। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ২০২২ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয়। দিনকয়েক আগেই দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এক মহিলা কর্মী দলীয় তহবিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সেটি ভাইরাল হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কাকলিদেবীর পোস্ট নিঃসন্দেহে বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল।

ওই পোস্টে কাকলিদেবী বলেছেন, ‘আমাকে বিজেপি নেত্রী বা কর্মী বলবেন না। তাতে আমার লজ্জা লাগে। আমি একজন সমাজসেবী। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থেকে কাজ করব’। দলের মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতাদের চোর-লম্পট বলে তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমি ওদের ভিতরে থেকে দেখেছি, প্রত্যেকে চোর ও লম্পট। আমি সব জানি। তাঁরা কী চুরি করেছেন, সব জানি। সেকারণে, আগেই আমি বিজেপি ছেড়েছি। আগে নিজেরা ঠিক হোন। তারপর অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজভবনে যাবেন। মানুষকে ধাপ্পা দিয়ে কোনও লাভ হবে না’।

আরও পড়ুন:ফোন হ্যা.ক করতে চাইছে কেন্দ্র! বি.স্ফোরক অভি.যোগ তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার

Previous articleফোন হ্যা.ক করতে চাইছে কেন্দ্র! বি.স্ফোরক অভি.যোগ তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার
Next article৫০ দিন পরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী, কাজে যোগ দিয়ে কী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত!