মোদির লোকসভা কেন্দ্রেই শ্লীল.তাহানির শি.কার IIT ছাত্রী! পড়ুয়াদের বি.ক্ষোভে উ.ত্তাল BHU ক্যাম্পাস

ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট করে অবস্থানে বসেছেন আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২ হাজার পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।

নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) লোকসভা কেন্দ্রেই এবার শ্লীলতাহানির শিকার আইআইটি ছাত্রী (IIT Student)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে, আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (BHU)। অভিযোগ, বুধবার রাতেই হস্টেলের কাছেই বাইকে সওয়ার তিন যুবক আইআইটি বিএইচইউ-এর ওই পড়ুয়াকে উত্যক্ত করে। পরে জোর করে তাঁর পোশাক খুলতেও বাধ্য করা হয়। এরপরই অভিযুক্তরা গোটা ঘটনার ভিডিও নিজেদের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট (Class Boycott) করে অবস্থানে বসেছেন আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২ হাজার পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে রাজপুতানা হস্টেলের সামনে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখালেও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে এবং যদি দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হয় তাহলে ডিরেক্টরকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ভয় পেয়েই ওই ছাত্রী সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন এক অধ্যাপকের বাড়িতে। দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পেয়েই অধ্যাপক বেরিয়ে আসেন। তাঁকে সব ঘটনা জানান ছাত্রী। এবং সাহায্যও চান। ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন অধ্যাপক। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে লুকিয়েছিলেন ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কমিটিকে বিষয়টি জানান অধ্যাপক। এর পরই অধ্যাপকের বাড়িতে এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমন দুঃসহ ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ছাত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে লঙ্কা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। তবে গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে বহিরাগতদের হাত। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। কার্মান বাবা মন্দিরের কাছে তাঁদের পথ আটকায় বাইকে সওয়ার তিন যুবক। এরপরই জোর করে যুবতীকে এক কোনায় নিয়ে যায় তারা। সেখানে ছাত্রীর পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। আর সেই ঘটনার ছবি তোলার পাশাপাশি ঘটনার ভিডিও তুলে রাখে অভিযুক্তরা। নির্যাতিতার মোবাইল নম্বর পর্যন্ত নিয়ে রাখে তারা। ১৫ মিনিট পর যুবতীকে ছেড়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় তিন অভিযুক্ত।

ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নম্বর ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে অভিযুক্তদের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীর সাংসদ। ২০১৪-র পর ২০১৯ সালেও বারাণসী থেকেই জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তাই বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে আইআইটি-র মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযোগ ওঠায় গেরুয়া শিবিরেরে বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার কংগ্রেস। তবে ঘটনার পর থেকেই হস্টেলে নিজেকে বন্দি রেখেছেন ছাত্রী। কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সেই ঘটনার পর থেকে।

Previous articleহিজবুল্লার কাছে অত্যাধুনিক রুশ ক্ষেপণা.স্ত্র, অ.স্ত্র যোগাচ্ছে পুতিনের ওয়াগনার
Next articleবিধানসভায় রবিবারের ম্যাচের টিকিট পাঠালো CAB