২০ ঘণ্টার মধ্যেই ‘মন পরিবর্তন’ বিজেপি নেতার, কংগ্রেসে যোগ দিলেন মদন কুশওয়াহা

বিজেপি প্রার্থী ভারত সিংয়ের সমর্থনে সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের গোয়ালিয়র গ্রামীণ এলাকার হাতিখানায় সভায় ছিলেন মদন কুশওয়াহা। মঙ্গলবারেও বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গেই ছিলেন তিনি। কিন্তু বিকেল গড়াতেই ছবি বদল!

মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ ঠাটিপুরে যান বিজেপি নেতা মদন কুশওয়াহা। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী সতীশ সিং সিকারওয়ারের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় পৌঁছে তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের সামনে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। মাত্র ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে!এককথায় গোয়ালিয়রে প্রাক্তন বিধায়ক মদন কুশওয়াহা এমন গতিতে বিজেপিকে ধাক্কা দিলেন যে সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন।

অনগ্রসর জাতি (ওবিসি)-র নেতা মদন কুশওয়াহা বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করে প্রতিটি নির্বাচনে দল পরিবর্তনের রেকর্ড করেছেন। তিনি ২০০৮ সালে গোয়ালিয়র গ্রামীণ এলাকা থেকে বিএসপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৯৭৭৭ ভোটে বিজেপির মহেন্দ্র যাদবকে পরাজিত করেন। কিন্তু ২০১৩ সালে তিনি বিজেপির ভারত সিং কুশওয়াহার কাছে হেরে যান। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সংস্পর্শে আসেন এবং কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপির ভারত সিংয়ের কাছে হেরে যান তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তারও হৃদয় পরিবর্তন ঘটে এবং বিজেপিতে তে ফিরে যান।মদন কুশওয়াহা গোয়ালিয়র গ্রামীণ আসন থেকে বিজেপির টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি দুই বারের বিধায়ক ও রাজ্য মন্ত্রী ভারত সিং কেই প্রার্থী করে। ফলে আবার হৃদয় পরিবর্তন ঘটে কুশওয়াহার। বিজেপিকে কাঁদিয়ে তিনি হাসতে হাস্তে কংগ্রেসের ডেরায় ঢুকে পড়েছেন। গোয়ালিয়র-চম্বল অঞ্চলে, কাছি সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক ভোট রয়েছে, এখন পর্যন্ত কেবল বিজেপি এই ভোটগুলি পেয়ে আসছে, এর কারণ হল এই সম্প্রদায় থেকে কংগ্রেসের কোনও সক্রিয় এবং সুপরিচিত নেতা ছিল না। কাচ্চি সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে মদন কুশওয়াহার নামের সুফল এখন কংগ্রেস পাবে।

আরও পড়ুন- সাংসদ পদ খা.রিজের সুপারিশ এথিক্স কমিটির, পা.ল্টা চ্যা.লেঞ্জ মহুয়ার

Previous articleসাংসদ পদ খা.রিজের সুপারিশ এথিক্স কমিটির, পা.ল্টা চ্যা.লেঞ্জ মহুয়ার
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ