জামিন পেলেন নিয়োগ মামলার মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেন তিনি।এসএসসি’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা গ্রেফতারের পর একে একে সিবিআিইয়ের জালে ধরা পড়েন প্রদীপ সিং এবং প্রসন্নকুমার রায়।শুক্রবার প্রসন্নকুমার রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন মুকুল রোহতগি।নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকাপয়সা লেনদেন হয়েছিল প্রসন্নকুমার রায়ের মাধ্যমে, আগেই দাবি করেছিল সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে দাবি ছিল, এসএসসির নিয়োগে এই দু’জন মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। প্রদীপ সিংয়ের মতো প্রসন্নর বিরুদ্ধেও অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ-কর্তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রসন্নর অফিস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও মেলে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে এই প্রসন্ন ধরা পড়েন। সিবিআই সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল-সহ একাধিক এজেন্ট চাকরি বিক্রির টাকা পৌঁছে দিতেন সিবিআইয়ের হাতে ধৃত প্রসন্ন রায়ের কাছে। প্রসন্নর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে চন্দন মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট থেকে। কোনও কোনও চাকরিপ্রার্থী আবার সরাসরি প্রসন্নর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও সিবিআইয়ের দাবি।

সিবিআইয়ের দাবি, নিয়োগ মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় ও আত্মীয়দের ৪৬৩টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, পুরোটাই কেনা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়!রকেটের থেকেও দ্রুত গতিতে উত্থান ছিল এই অভিযুক্ত মিডলম্যানের। ৮ বছরে ৪৬৩টি সম্পত্তি হয়েছিল তার নামে!

প্রসন্ন সম্পর্কে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই প্রসন্নকুমার রায়ের। প্রসন্ন’র সল্টলেকের অফিসে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হত। সেই তালিকা ইমেল করে পাঠানো হত SSC’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। এই অফিসেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও হত। ধৃত প্রসন্ন রায় চাকরিপ্রার্থীদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করেছে সিবিআই।
