বাকিবুরের থেকে ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জ্যোতিপ্রিয়! জে.ল হে.ফাজতের নির্দেশ আদালতের 

তবে এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তবে তাঁর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সাতদিন আগেও যখন তাঁকে আদালতে আনা হয়েছিল, সেই সময়ের থেকে এখন শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

রেশন বন্টন মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই রবিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলে ইডি। এদিন শুনানি শেষে জ্যোতিপ্রিয়কে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। অতএব কালীপুজোর রাত থেকে জেলেই থাকবেন বালু। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রাখা হবে তাঁকে। এদিন আদালত থেকে বেরোনোর সময় জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “ইডির হাত থেকে মুক্তি পেলাম। এখন জেলে যাচ্ছি।” তবে ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই রবিবার কালীপুজোর দিন কেন তাঁকে আদালতে পেশ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রবিবার ইডি আদালতে দাবি করে, মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করার সময় তিনি ওই তিন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন। ইডির আরও দাবি, জেরায় নাকি জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন তাঁর নির্দেশেই ওই কোম্পানিগুলোতে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ডিরেক্টর করা হয়।

তবে এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। তবে তাঁর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সাতদিন আগেও যখন তাঁকে আদালতে আনা হয়েছিল, সেই সময়ের থেকে এখন শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এরপরই জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী আবেদন করেন, সব বিষয় খতিয়ে দেখে তাঁর মক্কেলকে যেন কোনও সরকারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। অন্যদিকে, ইডির আইনজীবীর সাফ দাবি, কমান্ড হাসপাতালে নিয়মিত মন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এরপরই ইডির তরফে জ্যোতিপ্রিয়র জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করার অনুমতিও চায় ইডি। এরপরই বিচারক জেলে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করার অনুমতি দেন বলে খবর।

রবিবার কালীপুজোর সকালে কার্যত টলমলে পায়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়কে। তাঁকে ধরে ধরে বের করেন দুজন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে মন্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর আবার তাঁকে ইডি দফতরে ফিরিয়েও আনা হয়। তবে এদিন আসা যাওয়ার পথে একদম ক্ষীণ কণ্ঠে বিড়বিড় করে বেশ কিছু কথা বলতে শোনা যায় মন্ত্রীকে। তাঁর শরীর অত্যন্ত খারাপ, সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। এদিন সিজিও থেকে কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘মারা যাব। অবস্থা খুব খারাপ।’’ বিড়বিড় করে আরও কিছু বলছিলেন তিনি। তবে তিনি ঠিক কী বলেছেন তা স্পষ্ট নয়। এরপরেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁকে ধরে ধরে গাড়িতে তুলে দেন। গাড়ির ভিতর আসনে শরীর এলিয়ে বসে পড়েন মন্ত্রী। মাথা তোলারও ক্ষমতা ছিল না তাঁর। পরে জ্যোতিপ্রিয়কে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কমান্ড হাসপাতাল থেকে সিজিওতে ফেরার পর গাড়ি থেকে নেমে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার শরীর অত্যন্ত খারাপ। মৃত্যুশয্যা প্রায়। শরীরের এক দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।’’

তবে এখানেই শেষ নয়, শনিবারই ৯ কোটি টাকা বিনা সুদে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়েকে দেন বলে ইডির কাছে বিস্ফোরক দাবি করেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে সে দাবি উড়িয়ে দিয়ে অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ওসব গল্প ছেড়ে দিন। এছাড়া এদিন কমান্ড হাসপাতাল থেকে ফেরার পর দ্বিতীয়বার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। তখন নিজে হেঁটেই গাড়িতে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। তবে জ্যোতিপ্রিয় বারবারই দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ।

Previous articleউৎসবের মরশুমে অ.ব্যবস্থায় চ.রম পরিণতি যাত্রীর, উদা.সীন রেল!
Next articleদীপাবলিতে ফুটপাতবাসীদের উপহার গুরবাজের, ভাইরাল ভিডিও, মন কেড়েছে নেটিজেনদের