কালীপুজোয়(Kali Pujo) দুই ক্লাবের (Club) মধ্যে তুমুল মারপিট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুর (Durgapur)। আহত দুই ক্লাবের কমপক্ষে দশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে বাদ দেওয়া হয়নি পুলিশকেও। সোমবার ভোরে পুজো চলাকালীন মন্দিরের বাইরে হামলা চালায় অন্য একটি ক্লাবের সদস্যরা। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, একটি শ্মশানকালী মন্দির ও পুকুরের দখলদারি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই ক্লাবের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। আর কালীপুজোর দিনে তা চরমে ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন অগ্রণী ক্লাবের সদস্যরা মহিষ্কাপুর প্লটের শ্মশানকালী মন্দিরে পুজো করছিলেন। আচমকা প্রভাত সংঘের কয়েকজন সদস্য অগ্রণী ক্লাবের সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এদিকে ইটের আঘাতে তাঁদের বেশ কয়েকজন ক্লাব সদস্য আহত হন। প্রভাত সংঘের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে অগ্রণী ক্লাবের সদস্যরা। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে অগ্রণী ক্লাবের সদস্যরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেও তাঁদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমব্যাট ফোর্সও নামানো হয়। এতেও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্লাব সদস্যদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই ক্লাবের সদস্যরা একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৭ জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের আঘাত খুবই গুরুতর।
